সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি সুরক্ষা চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শামলি জেলার এক সমকামী তরুণী যুগল (Lesbian couple)। জেলাশাসক জানিয়েছেন, দুই তরুণীর বয়স ২২ ও ২৩। দু’জনের সম্পর্কের কথা তাঁদের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তাঁদের নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ।
দুই তরুণীই জানিয়েছেন, সমকামিতার কথা জানার পর থেকেই তাঁদের বাড়ির লোক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এই সম্পর্কে অবিলম্বে ইতি টানতে হবে। অন্যথায় তৈরি থাকতে হবে কোনও ভয়ংকর পরিণতির জন্য।
এরপরই প্রাণের ভয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা পুলিশি সুরক্ষার আবেদন করেন। জেলাশাসক জসজিৎ কৌর স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ওঁরা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্কা। ওঁরা চাইলে স্বাধীনভাবে যেখানে খুশি থাকতে পারেন।’’ ওই দুই তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর মহাকুমা শাসক এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেবেন। কিন্তু তার আগে সামনে এসেছে জেলাশাসকের ওই বক্তব্য।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল সমকামিতা কোনও অপরাধ নয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছিল ৩৭৭ ধারাও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ওই বক্তব্যের পরও ভারতে সমলিঙ্গের মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা কমেনি।
কিছুদিন আগেই যেমন দিল্লি হাই কোর্টে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে সমকামী বিবাহ খাপ খায় না। সমকামী সম্পর্ক আসলে পারস্পরিক সমঝোতা মাত্র। একে আইনের চোখে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না। ভারতীয় মূল্যবোধ এই ধরনের বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না।
১৯৫৬ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমকামী বিবাহের অন্তর্ভুক্তি চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই সরকারি সলিসিটর তুষার মেহতা ওই বক্তব্য রাখেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশের জেলাশাসকের এমন মন্তব্য যে একেবারে ভিন্ন সুরের, তাতে সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.