সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের লোকালয়ে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। এবার ঘটনাস্থল গ্রেটার নয়ডা। রবিবার সাতসকালে সেখানে একটি ছেলেকে জখম করে চিতা। এখনও গ্রেটার নয়ডার ওই গ্রামে চিতাটি রয়েছে বলে খবর। গ্রামে পৌঁছেছে বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
গৌতম বুদ্ধ নগরের ফরেস্ট অফিসার বি কে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গ্রেটার নয়ডার সাদুল্লাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পাশের জঙ্গল থেকে চিতাটি গ্রামে ঢোকে। তারপর থেকে গ্রামেই রয়েছে প্রাণীটি। জঙ্গলের সীমান্তবর্তী এলাকায় আপাতত সেটি আশ্রয় নিয়েছে। ওই এলাকা দিয়েই যাচ্ছিল কোমল কুমার। তখনই চিতাটি তার উপর হামলা চালায়। ছেলেটির পিঠ, কাঁধ ও হাত জখম করে সে। কোমলকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত তেমন গুরুতর নয়। প্রাণে বেঁচে যাবে কোমল। চিতাটিকে ফের জঙ্গলে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে।
[ এবার মহাজোটকে ‘নেগেটিভ’ বলে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদির ]
কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রেও লোকালয়ে চিতা ঢুকে পড়ে। কোয়লারি গ্রামের কাছে নাভেগাঁও নাগজিরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণালয়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে। বনকর্মীরা সেই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটনাটি একটু অন্য। বনকর্মীরা জানান, জঙ্গল ছেড়ে চিতাবাঘটি লোকালয়ে চলে আসে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখা মাত্রই চিতাবাঘটিকে ঘিরে ধরে৷ লেজ ধরে টানতে টানতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরানো হয় তাকে৷ অত্যাচারের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে চিতাবাঘটি৷ জ্ঞান হারায় সে৷ গ্রামবাসীরা ভাবে চিতাবাঘটি মারা গিয়েছে৷ তাই এলাকার একটি জঙ্গলের কাছে ফেলে দেওয়া হয় ওই চিতাবাঘটিকে৷ শুধু অত্যাচারই নয়, অসুস্থ হয়ে পড়া ওই চিতাবাঘটির সঙ্গে সেলফিও তোলে অত্যাচারীরা৷ এই খবর পাওয়া মাত্রই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ চিতাবাঘটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা৷ নাগজিরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণালয়ে আনা হয় তাকে৷ বনকর্মীদের দাবি, উদ্ধারের সময় চিতাবাঘটির শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল৷ চিকিৎসা চলছিল তার৷ যদিও তাতে শেষরক্ষা হয়নি৷ মাস ছয়েকের মধ্যে ওই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়৷
[ বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে পারে কংগ্রেসই, ব্রিগেডের পরদিন ঘোষণা তেজস্বীর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.