সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থ্রি ইডিয়টস সিনেমার ‘বাবা’ রাঞ্চোরদাস চাঁচড়কে মনে আছে তো? যার ডাকনাম ‘র্যাঞ্চো’। সমস্যা, তা সে যতই কঠিন হোক, চটজলদি সমাধান সবসময় মজুত যার পকেটে। সেই র্যাঞ্চোর স্কুলের ‘প্রস্রাব করা মানা’ দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কেননা ওই দেওয়ালই এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, র্যাঞ্চোর ওই দেওয়াল দেখতে স্কুলের অন্দরে নিত্যদিন পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এর জেরে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। পড়াশোনা ছেড়ে পর্যটকদের সঙ্গে কখনও সেলফি তুলতে, কখনও বা গল্প করতে ব্যস্ত থাকছে পড়ুয়ারা। এহেন বিড়ম্বনার মূল কারণ ওই দেওয়াল, তাই সেটিকে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে স্কুলের অন্দরে পর্যটকদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘র্যাঞ্চোর স্কুল’।
র্যাঞ্চোর স্কুল! সেটা কোথায়?
মনে করিয়ে দেওয়া যাক। জায়গাটির অবতারণা একেবারে সিনেমার ক্লাইম্যাক্সে। উধাও র্যাঞ্চোকে (আমির খান) খুঁজতে খুঁজতে লাদাখে হাজির তার দুই বন্ধু রাজু, ফারহান ও বান্ধবী পিয়া। এমনকী, র্যাঞ্চোর শত্রু চতুরও। সেখানেই একটি স্কুলে ‘প্রস্রাব করা মানা’ লেখা দেওয়ালের পাশে নির্দেশ লঙ্ঘন করতেই ইলেকট্রিক শক খায় চতুর। স্কুলেরই এক ছাত্রের দুষ্টুমি। বিদ্যুতের তারে চামচ বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়েছিল সে। যেমনটা র্যাঞ্চো করেছিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথমবর্ষে। র্যাগিংয়ের জবাব দিতে। এরপরই র্যাঞ্চোর খোঁজ পেতে অসুবিধা হয়নি। আর হ্যাপি এন্ডিং। ব্লকবাস্টার হিট ছবি।
এদিকে ‘থ্রি-ইডিয়টস’ রমরমা বাজার চলে গিয়েছে অনেক দিন হল। কিন্তু সেই হিটের বিড়ম্বনায় আজও ভুগছে লাদাখের স্কুলটি। জনপ্রিয় ছবিটিতে এই স্কু্লকেই র্যাঞ্চোর তৈরি করা স্কুল হিসাবে দেখানো হয়। র্যাঞ্চো যে কি না বড় বিজ্ঞানী, অবসরে ওই স্কুল চালান। যদিও ছবিতে ওই স্কুলে যেসমস্ত কাজ শেখানো হয় বলে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও নেই। তবে স্কুলটির ভাবনা অন্যরকম। স্কুল বাড়িটি তৈরি হয়েছে চাবির আদলে। ‘শিক্ষাই জীবনের চাবি’- এই ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া। ‘থ্রি ইডিয়টস’ স্কুলটিকে জনপ্রিয়তা দিলেও পড়াশোনায় সঙ্গে আপস করে সেই সিনেমার নিদর্শন রাখতে রাজি নন কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.