এসএফআই-এর সদস্য না হতে চাওয়ায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক সমর্থকের মুখে প্রস্রাব করা ও জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল সিপিএম শাসিত ত্রিপুরায়৷ অভিযোগ বুধবার প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি৷ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এ নিয়ে মুখ খোলেননি৷ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সত্যি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে৷
ঠিক কী ঘটেছিল ওই এবিভিপি সমর্থক ছাত্রের সঙ্গে? অলোক দেব নামে ওই ছাত্রটির বয়ান উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিপুরার কমলপুর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অলোক আদতে বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সমর্থক৷ তাঁর বাড়ি কমলপুরের আমবাসার শান্তিপাড়াতে৷ এসএফআই-এর সদস্য হওয়ার জন্য অলোকের উপর কয়েকদিন ধরেই জবরদস্তি করছিল বাম ছাত্র শিবিরের নেতারা৷ এদিন তারা একটা হেস্তনেস্ত করার জন্য তাঁকে টার্গেট করে৷
মঙ্গলবার সেমেস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে এলে অলোককে ইতিহাস বিভাগের একটি কক্ষে ডেকে পাঠায় এসএফআই-এর সদস্যরা৷ তাঁকে কয়েক জন মিলে লাগাতার কিল, চড়, লাথি ঘুসি মারে বলে অভিযোগ৷ জখম হয়ে ক্লাসের মেঝেতে পড়ে থাকা অলোকের মুখে এক এসএফআই সমর্থক প্রস্রাব করে৷ তাঁর মুখ খুলিয়ে সেই প্রস্রাব দফায় দফায় গিলতে বাধ্য করা হয়৷ অলোকের পকেটে ছিল বই কেনা ও এক বন্ধুকে দেওয়ার জন্য মোট পনেরোশো টাকা৷ সেই টাকাও ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে৷ জখম অবস্থায় কোনওমতে উঠে দাঁড়িয়ে দু’জন সহপাঠীর সাহায্যে প্রথমে তিনি অধ্যক্ষা ছন্দা ভট্টাচার্যকে সব জানানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু অধ্যক্ষা সেই সময় তাঁর ঘরে ছিলেন না৷ বাড়ি পৌঁছে বাড়ির লোকজন ও পাড়ার বাসিন্দাদের সব জানান অলোক৷ এরপর থানায় তিনজনের নামে এফআইআর করেন তিনি৷ যে তিনজন এসএফআই নেতার নামে অত্যাচার, ভয় দেখানো ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন দেবাঞ্জন দাস, মনোজ সিনহা এবং বীরজিত্ দেববর্মা৷ ঘটনার খবর কানে যেতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব অলোককে দেখতে যান৷ এখনই দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তিনি বড় আন্দোলন ও অনশন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.