সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলা হত তাঁকে৷ দিল্লির মসনদেও আসীন ছিলেন তিনি৷ কিন্তু সুসময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোধহয় সুসম্পর্কগুলিও চলে যায়৷ ঘনিষ্ঠ বৃত্তও হয়ে ওঠে বিদ্রোহী৷ এই বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল দিল্লির পুরসভা নির্বাচনের আগেই৷ যখন দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি ও প্রাক্তন যুব কংগ্রেসনেতা অমিত মালিক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন৷ এর কিছুদিন পরই রাহুল গান্ধীকে ‘অযোগ্য’ বলার অভিযোগে দল থেকে বরখাস্ত করা হয় বরখা শুক্লা সিংকে৷ এবার এই তালিকায় নয়া সংযোজন গান্ধী পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শীলা দীক্ষিত৷
[বিসর্জনের জন্যও আদালতের অনুমতি লাগছে কেন, প্রশ্ন অমিতের]
দিল্লি পুরসভা নির্বাচনের পরই এই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন শীলা৷ এদিন হারের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের আরও উদ্যম নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে প্রচার করা উচিত ছিল৷ এর পরই প্রশ্ন ওঠে, শীলা নিজে কেন প্রচারে আসেননি? যার উত্তরে কংগ্রেসের নেত্রী বলেন, তাঁকে প্রচারের জন্য ডাকাই হয়নি৷ সে কারণেই তিনি প্রচার করতে আসেননি৷
[দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ে পাক হ্যাকারদের হামলা, প্রতিবাদে সরব ABVP]
পরে অবশ্য শীলা বলেন এটি দলের বিষয়৷ হারের কারণ খতিয়ে দেখা হবে৷ এর থেকে শিক্ষা নেওয়া হবে৷ তারপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ পুরসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের দায় ইভিএম কারছুপির উপর চাপিয়েছে আপ৷ সে প্রসঙ্গে শীলা বলেন, যে দলই হারে ইভিএমের উপরই দোষ চাপায়৷ এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাব নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সেখানে তো ইভিএম কারছুপির অভিযোগ তোলা হয়নি? শীলার এই আচমকা মন্তব্যে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লি কংগ্রেস৷ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের৷
[নিলামে বাদ পড়ার যন্ত্রণা মনোজের ব্যাটিংয়ে দেখছি: দীপ দাশগুপ্ত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.