সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাইয়ের। তারপরেই উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে সরব হয়েছে অবিজেপি দলগুলি। যদিও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপি নেতাদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত হবে। প্রসঙ্গত, মাত্র দু’দিন আগেই পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিকের পুত্র আসিফের।
শনিবার রাতে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আতিক ও তাঁর ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টারের। এই ঘটনার পরেই গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কারফিউ জারি হয়েছে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব।
টুইট করে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের অপরাধ একেবারে চরম সীমায় পৌঁছেছে। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও কী করে গুলি চালানোর সাহস পায় অপরাধীরা? নিরাপত্তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? আসলে ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি করছে কয়েকজন।” এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি টুইট করে লেখেন, “হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে খুন হয়েছেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ যোগী (Yogi Adityanath) সরকার। যারা এনকাউন্টার রাজ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারাই রয়েছে এই খুনের নেপথ্যে।”
সাংসদ কপিল সিব্বল বলেন, “এদিনের ঘটনায় মোট তিনটি মৃত্যু হয়েছে। আতিক, আসিফের পাশাপাশি প্রয়াত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলাও।” যদিও এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। সাংসদ সুব্রত পাঠক বলেন, “আতিক আহমেদ ও আশরাফের মৃত্যুর ঘটনায় বিশদ তদন্ত হবে। খুনিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও যোগীর মন্ত্রিসভার সদস্য সুরেশ কুমার খান্না বলেন, “যখন অপরাধ চরমে পৌঁছয়, তখন প্রকৃতিই এমন সিদ্ধান্ত নেয়।” আরেক মন্ত্রী টুইট করে বলেন, “এই জন্মেই পাপ-পুণ্যের হিসাব হয়ে যায়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.