সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মোদি মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হতে পারে। পরপর দুই রাজ্য কর্ণাটক (Karnataka) ও হিমাচল প্রদেশে বিপর্যয়। এবং বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা। যার ফলে কিছুটা হলেও চিন্তায় গেরুয়া শিবির। যার জেরেই বড়সড় বদল আসতে চলেছে বিজেপির অন্দরে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়।
চলতি বছরেই একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। বছর পার করলেই আবার লোকসভা নির্বাচন। এই প্রতিটি নির্বাচনেই জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। সেই কারণেই সংগঠন মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই বৈঠকের পরই বিজেপির সংগঠন, এমনকী মন্ত্রিসভাতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।
রাজস্থানে জাঠ ও গুজ্জর নেতাদের তুলনায় নতুন ব্রাহ্মণ মুখকেই দলের নেতৃত্বে এবং মন্ত্রিসভায় তুলে আনতে পারে বিজেপি। ছত্তিশগঢ়ের ক্ষেত্রে যেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের কাজে খুশি নয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। নতুন মুখ হিসেবে তাই ওপি চৌধুরীকে তুলে আনার চেষ্টা করা হতে পারে। যে রাজ্যগুলির সংগঠনে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশেই সবথেকে বেশি পরিবর্তন আনা হতে পারে। এরমধ্যে যে রাজ্যগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল আশাপ্রদ হয়নি, সেখানকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্য সংগঠনে নিয়ে আসা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হলে, ভোটমুখী রাজ্যের নেতাদের ঠাঁই হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
এবার প্রশ্নটা হল, সাংগঠনিক বা মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে বাংলার উপর কোপ পড়ার সম্ভাবনা কতটা? বৃহস্পতিবার শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের মতো রাজ্যের চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুরের কাজের পারফরম্যান্স নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শুধুমাত্র মন্ত্রক সামলানোই নয়, কাজের থেকেও মন্ত্রীর ভাবমূর্তিও রাজ্য রাজনীতিতে এবং সংগঠনে কতটা উপযোগী ভূমিকা পালন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চার মন্ত্রীর কাজে যে শীর্ষনেতৃত্ব চরম অসন্তুষ্ট বলে সূত্রের খবর। তবে আপাত বিজেপির নজর রয়েছে ভোটমুখী রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগড় এবং তেলঙ্গানায়। যে রাজ্যগুলিতে এখন ভোট নেই, সেখানকার নেতা-মন্ত্রীদের ভোটমুখী রাজ্যে ব্যবহার করাই লক্ষ্য শীর্ষ নেতৃত্বের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.