Advertisement
Advertisement

Breaking News

এক চাওয়ালার সাহিত্যিক হয়ে ওঠার কাহিনী

লক্ষ্মণের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কোনটি?

Laxman Rao, the chaiwallah has written 24 books and still runs his tea stall
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 27, 2016 7:53 pm
  • Updated:August 27, 2016 7:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্মণ রাও৷ দিল্লির ব্যস্ত আইটিও এলাকার চা বিক্রেতা৷ তবে শুধুমাত্র এটাই তাঁর পরিচয় নয়৷ চাওয়ালার নেপথ্যে এক অন্য পরিচয়ও রয়েছে তাঁর৷ যে পরিচয় তাঁকে এনে দিয়েছে বহু পুরস্কার, সম্মান ও খ্যাতি৷ সেই পরিচয়ের জন্যই তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের৷

কী পরিচয়? তিনি একজন সাহিত্যিক৷

Advertisement

জীবনের চড়াই-উতরাইকে নিজের কলমে জীবন্ত করে তুলেছেন লক্ষ্মণ রাও৷ এখনও পর্যন্ত ২৪টি বই লিখে ফেলেছেন লক্ষ্মণ রাও৷ যেসমস্ত বই এখন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টেও পাওয়া যায়৷

587u0198_1471938524

কিন্তু লক্ষ্মণ থেকে ঔপন্যাসিক লক্ষ্মণ রাও হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না৷ ভিতরের সুপ্ত প্রতিভাকে সযত্নে লালন-পালন করে একটু একটু করে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন তিনি৷ ইচ্ছে থাকলেই যে উপায় হয়, তা নিষ্ঠা ও প্রয়াসের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন৷ লক্ষ্মণ জানান, ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন লেখকের বই পড়তে ভালবাসতেন তিনি৷ শেক্সপিয়ারের উপন্যাস থেকে মুনশি প্রেমচাঁদ, যখন যা হাতের কাছে পেয়েছেন পড়ে ফেলেছেন৷ তাঁদের সাহিত্যই তাঁকে লেখার অনুপ্রেরণা জোগাত৷

laxman_rao11_1471938554

তবে বাধ সেধেছিল দারিদ্র৷ গরিব পরিবারের ছেলে লক্ষ্মণ অর্থের অভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি৷ দশম শ্রেণির পরই কাজে যোগ দিতে হয় তাঁকে৷ প্রথমে এক চিকিৎসকের অধীনে কাজ করতেন৷ তারপর একটি কাপড়ের কারখানার কাজ করতে শুরু করেন৷ সেখানে পাঁচ বছর কাজ করার পর আইটিও-তে চায়ের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন৷ লক্ষ্মণ বলছেন, চা বিক্রিতেই বেশি লাভ৷ তাই পরিবারের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য চাওয়ালা হলেন লক্ষ্মণ৷ সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর লেখার কাজ৷ এখন এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় চাওয়ালা তিনি৷ শহরের সব শ্রেণির মানুষই তাঁর চায়ের দোকানে ভিড় জমান৷ ‘চায়ে পে আড্ডা’য় জেনে নেন লক্ষ্মণের জীবনের নানা অজানা কথা৷

কাজের মাঝেই মনের খেয়ালগুলিতে পাতায় লিখে রাখেন৷ প্রথম প্রথম প্রকাশকরা খালি হাতেই ফিরিয়ে দিতেন এই অনামী লেখককে৷ যত দিন গেল, ছবিটাও পাল্টাতে শুরু করল৷ তাঁর লেখা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে৷ শুধু নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাই নয়, প্রেম, বিরহ, পুরাণ, দর্শনকেও নিজের লেখনিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি৷ তাঁর বইগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ‘রামদাস’৷

12_1471939033

লক্ষ্মণের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তরে লক্ষ্মণের দ্রুত জবাব, “যখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন৷ তাঁর জন্য একটি নাটকও লিখেছিলাম৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর প্রধামন্ত্রীকে দেওয়া হয়নি৷” বহু স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা থেকে পুরস্কার প্রাপ্ত ৬০ বছরের লক্ষ্মণ রাও সম্প্রতি হিন্দিতে এমএ পাস করেছেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement