সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে সমকামী বিবাহের (Same Gender Marriage) বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র। মোদি সরকারের যুক্তি, এই বিবাহ ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজেজু (Kiren Rijiju) ঘুরিয়ে সেই মন্তব্যই করলেন। তাঁর কথায়, একজন নাগরিক নিজের ইচ্ছে মতো চলতেই পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বাঁধা নেই, যতক্ষণ না আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। বলেন, ভারতে বিবাহ হল একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। যার সঙ্গে দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগ জড়িত।
কেন্দ্রে হলফনামা দিয়ে নিজেদের মতামত জানানোর পর সমলিঙ্গ বিবাহ আইনের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য, “সরকারের একমাত্র সমস্যা হল বিবাহ একটি প্রতিষ্ঠান। এর পবিত্রতা রয়েছে। বিবাহ আইনের সঙ্গে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গভীর যোগ।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, সরকার “নাগরিক অধিকারের বিরোধিতা করছে না। যতক্ষণ না আইন লঙ্ঘন হচ্ছে, ততক্ষণ স্বাধীন দেশের নাগরিক ইচ্ছে মতো চলতে পারেন।” যে কোনও লিঙ্গের ব্যক্তি পছন্দমতো জীবনযাপন বেছে নিতেই পারেন, যা তাঁর জন্য উপযুক্ত। “কিন্তু বিবাহ একটি প্রতিষ্ঠান। যা একাধিক আইনি ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। সংসদ প্রণয়ন করে থাকে এই আইন। ভারতীয় সংসদ আসলে ভারতের জনতার ভাবাবেগের প্রতিচ্ছবি।”
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সমকামী সম্পর্ক অপরাধ নয়, ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমলিঙ্গ বিয়ে এখনও আইনি বৈধতা পায়নি ভারতে। দাবি উঠেছে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। এই সংক্রান্ত একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং কেরল হাই কোর্টে। সমস্ত মামলা একত্রে করে শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু হয়। উল্লেখ্য, গতকাল সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রের মতকে সমর্থন জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। আরএসএস সাধারণ সম্পাদক দত্তত্রেয় হোসবলে মন্তব্য করেন, কেবলমাত্র বিপরীত লিঙ্গের মধ্যেই বিয়ে সম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.