সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তরা। তাই বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় পুলিশ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এনকাউন্টারের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করলেন সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানর। আইন নিজের দায়িত্ব পালন করেছে বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
গত ২৭ নভেম্বর পরিকল্পনামাফিক ধর্ষণ এবং প্রমাণ লোপাটে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় তরুণী চিকিৎসকের। দেহ উদ্ধারের পরপরই ঘটনায় জড়িত চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত জেল হেফাজতে ছিল তারা। শুক্রবার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ব্রিজের নিচে পুনর্নির্মাণে জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণে অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেশাভুলু নামে চারজনকে। সেখানেই এনকাউন্টারে খতম করা হয় তাদের। দিনভর এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা টানাপোড়েন। কেউ সমর্থন করেছেন আবার বিরোধিতাও রয়েছে যথেষ্ট। ঠিক কেন গুলি চালাতে বাধ্য হল পুলিশ দিনভর টানাপোড়েনের পর তা স্পষ্ট করলেন সাইদরাবাদের সিপি ভিসি সাজ্জানর। তিনি বলেন, “মোট দশজন পুলিশকর্মী তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। চারজনের মধ্যে দু’জন পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে। পুলিশের উপর পাথর এবং লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে। অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা করতে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার তাগিদে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই চারজন খতম হয়। ভোর ৫.৪৫ থেকে ৬.১৫ পর্যন্ত মোট ৪৫ মিনিট ধরে এনকাউন্টার চলে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও পুনর্নির্মাণের সময় সামশাবাদে ওই ব্রিজের নিচ থেকে পুলিশকর্মীরা তরুণী চিকিৎসকের ঘড়ি, পাওয়ার ব্যাংক এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। আইন নিজের দায়িত্ব পালন করেছে বলেই দাবি পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানরের।
ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা সরকার ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। আপাতত ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ওই চার অভিযুক্তের দেহ। তাদের ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। ময়নাতদন্তের পরই তাদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
Cyberabad CP VC Sajjanar on today’s encounter: Today, the police brought the accused to the crime spot as part of investigation. The accused then attacked the police with sticks and then snatched the weapons from us and they started firing on police. pic.twitter.com/lkMHfOFDWp
— ANI (@ANI) December 6, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.