এক সারিতে মোদি, ফড়ণবিস, একনাথ শিণ্ডে. অজিত পওয়ার।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে এবার মহারাষ্ট্রেও কার্যকর হতে চলেছে লাভ জেহাদ বিরোধী আইন? ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো পদক্ষেপ শুরু করল দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকার। লাভ জেহাদ বা ধর্মান্তকরণ সংক্রান্ত যদি কোনও আইন আনতে হয়, তাহলে সেই আইনের রূপরেখা কী হবে, খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের কমিটি গড়ছে মহারাষ্ট্রে সরকার।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি বলছে, সাত সদস্যের এই নতুন কমিটি জোর করে ধর্মান্তকরণ তথা লাভ জেহাদ নিয়ে রাজ্যে যা যা অভিযোগ উঠছে, সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। এই ধরনের অভিযোগ রুখতে কী কী করণীয় তার একটা নীল নকশা তৈরি করবে। কমিটির শীর্ষে রাখা হয়েছে মহারাষ্ট্রের ডিজিপিকে। এছাড়াও নারী ও শিশুকল্যাণ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়, আইন এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিবরাও রয়েছেন ওই কমিটিতে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মূলত লাভ জেহাদ এবং ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনের কাঠামো
আসলে ২০২৪ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে মূলত হিন্দুত্বের এজেন্ডা নিয়ে প্রচার করেছে বিজেপি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাভ জেহাদ বিরোধী প্রচার চালিয়েছে। এমনকী মুম্বইয়ের বুকে বিরাট লাভ জেহাদ বিরোধী মিছিলও হয়েছে। ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন আনবে বিজেপি সরকার। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবার বদ্ধপরিকর বিজেপি। তাছাড়া ভোটে বিরাট জনসমর্থন পাওয়ায় এনডিএ এখন মহারাষ্ট্রে আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। অনেকটাই কমেছে শরিক নির্ভরতা। ফলে নিজেদের এজেন্ডা পূরণে বিশেষ সমস্যাও হচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মূলত লাভ জেহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। তবে যদি কেউ বিয়ে করে ধর্মান্তর করাতে চেষ্টা করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও একইভাবে আইন তৈরি করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.