সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান ও ভুমিধসে ভয়াবহ অবস্থা হিমাচলপ্রদেশের। অতিভারী বৃষ্টির জেরে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বিপাশা নদীর জল। জায়গায় জায়গায় নতুন করে ভুমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া রবিবার মান্ডি ও সিমলা জেলায় নতুন করে আরও ৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। সরকারিভাবে জানা যাচ্ছে, এই দুর্যোগের জেরে এখনও ৪০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত ৩১ জুলাই রাতে কুল্লুর নির্মান্দ, সাইঞ্জ, মালানা, মান্ডির পাধার এবং সিমলার রামপুর মহকুমায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ভুমিধস ও হড়পা বানের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে ৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নিখোঁজ হন একাধিক জন। এই ঘটনার পর থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। সোমবার দুর্ঘটনার পঞ্চম দিনে তীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনী, হিমাচল পুলিশ, আইটিবিপি ও সিআইএসএফ যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। মৃতদেহের খোঁজে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে এসে চলছে তল্লাশি। ধসে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অস্থায়ী সেতুও নির্মাণ করেছে সেনা।
#WATCH | Rampur, Himachal Pradesh: Relief and rescue operations are underway in Rampur’s Samej village after the incident of cloudburst that occurred on August 1 leaving at least 6 people dead. pic.twitter.com/pMnoXnvHMh
— ANI (@ANI) August 5, 2024
আজ সোমবার পঞ্চম দিনের সকাল থেকে দুর্যোগ কবলিত হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। জাতীয় এবং রাজ্য মোকাবিলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, হিমাচল পুলিশ সকলে সম্মিলিত ভাবে উদ্ধারকাজে নেমেছে। এমনকি ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে পৌঁছে উদ্ধারকাল চালানোর জন্যে সেনাবাহিনীর দল অস্থায়ী সেতুও নির্মাণ করেছে। উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্যে আনা হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফিং ডগ, এছাড়া অন্যান্য সরঞ্জাম। জোরকদমে চলছে উদ্ধার অভিযান। এদিকে হিমাচলের একাধিক জেলায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানানো হয়েছে, আগামী ৮ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন হিমাচলপ্রদেশ সরকার। গত শুক্রবার সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, এই ঘটনায় মৃতের পরিজনদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও মাসে ৫ হাজার টাকা করে আগামী ৩ মাস দেওয়া হবে। পাশাপাশি, দুর্গতদের রান্নার গ্যাস, খাবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে সরকার। রিপোর্ট বলছে, গত ২৭ জুন হিমাচলপ্রদেশে বর্ষা ঢুকেছে। ৪ অগাস্ট পর্যন্ত বর্ষার জেরে রাজ্য প্রায় ৬৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক জায়গা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৮৭টি রাস্তা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.