সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটল লালুপ্রসাদ যাদবের। কিডনির সমস্যা বাড়ায় রাষ্ট্রীয় জনতা দল প্রধানকে নিয়ে চিন্তার ভাঁজ দলীয় নেতা-নেত্রীদের কপালে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগে যেখানে ৫০ শতাংশ কাজ করছিল কিডনি সেখানে তা এখন ৩৭ শতাংশ কার্যকর। আর এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে আরজেডিকে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাঁচির বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি জেলের চেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন প্রথমে দিল্লির এইমস হাসপাতাল ও পরে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে। বর্তমানেও রাঁচির এই হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। তাঁর অবস্থা অনেকটাই খারাপের দিকে। শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ডক্টর ডি কে ঝা জানান, ৭১ বছরের প্রবীণ নেতার সুগার এবং রক্তচাপ বারবার ওঠানামা করছে। বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। আর তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কিডনিতে। তবে মনে করা হয়েছিল, অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ শেষ হলে কিডনি আবার আগের মতোই কাজ করবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। চিকিৎসকদের ধারণা, কিডনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত মাসখানেক সময় নেবে। লালুপ্রসাদের ডায়াবেটিস থাকায় বেশ কয়েকটি সমস্যার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে তাঁকে।
এর আগে অস্ত্রোপচারও হয়েছে আরজেডি প্রধানের। ডক্টর উমেশ প্রসাদ শনিবার বলেন, “তাঁর কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে না। GFR (গ্লোমেরুলার ফিলট্রাশন রেট) নিচে নেমে গিয়েছে। ব্লাড সুগার এবং রক্তচাপও ওঠানামা করছে। তাঁকে আপাতত স্থিতিশীল বলা যাবে না। খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণও আগের থেকে কমে গিয়েছে। আমরা ওষুধ দিচ্ছি।” এদিন হাসপাতালে বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন ছেলে তেজস্বী যাদব। দলের সুপ্রিমোর শারীরিক অবনতির খবর চিন্তায় ফেলেছে নেতা-কর্মীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.