সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিকে দেশকে তাড়াতে তাঁর এই সভার আয়োজন। লক্ষাধিক মানুষের জনসমাবেশ দেখে তৃপ্ত সভার হোতা লালুপ্রসাদ যাদব। অনুগামীদের ধন্যবাদ জানিয়েই থামেননি আরজেডি সুপ্রিমো, ভিড়ের ছবি নিজের টুইটার পেজে আপলোড করেন। আর এখানেই বেধেছে গোল। অভিযোগ, ছবিতে কারসাজি করেছেন লালু। আসলে যে পরিমান লোক হয়েছিল তার কয়েক গুন বাড়িয়ে দেখানো হয়। টুইটারে এই বিতর্কিত ছবি নিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন লালুপ্রসাদ।
ghatiya #photoshop se
I support #BahubaliTejashwiTrust me, I am a Liar pic.twitter.com/SKod9EkKLb
— Rahul Thakkar (@DegreeWaleBabu) 27 August 2017
[এবার শহরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হানা ‘নীল তিমি’র, সিআইডির হস্তক্ষেপে শেষরক্ষা]
সময়টা মোটে ভালো যাচ্ছিল না লালুপ্রসাদের। তাঁকে ছেড়ে নীতীশ বিজেপির সঙ্গী হয়েছেন। নিজে এবং সন্তানদের নিয়ে মামলায় ফেঁসে রয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো। রবিবার পাটনার গান্ধী ময়দানের সভা ছিল তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদবকে পেয়ে মেজাজে ছিলেন লালু। গান্ধী ময়দানের সভায় খারাপ জমায়েত হয়নি। ভিড় নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই বেশ কিছু ছবি দিয়েছিল। যেখানে দেখা যায় ময়দানের অনেকটা জুড়ে রয়েছেন আরজেডি সমর্থকরা। এর কিছু পরেই ভিড়ের ছবি নিজের টুইটার পেজে প্রকাশ করেন লালু।
সেই ছবিতে দেখা যায় গোটা গান্ধী ময়দানের কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। সর্বত্র রয়েছেন আরজেডির সমর্থকরা। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সমালোচনার মাধ্যম হয় টুইটারে। এক টুইটার ব্যবহারকারী বিদ্রুপ করে লেখেন, ‘এটা ফোটোশপের কাজ হতেই পারে না। সমাবেশের লোকজন আফ্রিকার উগান্ডা ও অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন।’ কেউ লেখেন, ‘মাত্র ২০০০ টাকা খরচে লালু কত কিছু করেছেন।’ একজনের সংযোজন, ‘২০১৩-১৪তে মোদি ফটোশপ আবিষ্কার করেছিলেন। অন্যান্য দলগুলি এখন তাঁকে অন্ধের মতো অনুকরণ করছে।’ কেউ লালুকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেন, ‘এত কম ভিড় হতেই পারে না। সবাই একইরকম পোশাক পরেছে। দারুন ব্যাপার।’ এক টুইটার ব্যবহারকারীর মতে, ২০১৯-এ ফটোশপের দৌলতে তেজস্বী মোদিকে হারিয়ে ছাড়বেন।
No “Face” will stand in front of Lalu’s “Base”. Come & Count as much as u can in Gandhi Maidan, Patna #DeshBachao pic.twitter.com/sXoAcpwNKw
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) 27 August 2017
তবে পালটা মতও আছে। লালু শিবিরের একজন লেখেন, ‘এটা যদি ফটোশপ হয় তাহলে একটি সর্বভারতীয় সংবাধমাধ্যমের ছবিও কী জাল?’ ওই ছবিতে দেখা যায়, তারিক আনোয়ার বক্তব্য রাখছেন, ময়দানে প্রচুর মানুষের ভিড়। এই ছবি অবশ্য অন্য একটি কোণ থেকে নেওয়া। এএনআইয়ের ছবিতে গান্ধী ময়দানে থাকা কয়েকটি গাছ দেখা যায়। গাছগুলি কোন জাদুতে উধাও হয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ছবি বিকৃত করার অভিযোগ নতুন নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, নির্মলা সীতারমণ এই নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজের দপ্তরের একটি কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে ভুল ছবি দিয়েছিলেন। এমনকী ২০১৫ সালে চেন্নাইয়ের বন্যার সময় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.