সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজেটে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন শিল্পের উপর জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরই সংঘাতে জড়ায় ভারত ও মালদ্বীপ। এখন বহু ভারতীয় মালদ্বীপের বদলে ভ্রমণের জন্য বেছে নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বীপকে। অনেকেই মনে করছেন, তাই এবার এই জায়গাটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কেন্দ্র। বিদেশের বদলে যাতে আরও বেশি ভারতীয়র পছন্দের তালিকায় স্থান পায় দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, তাই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান। এতে আগামিদিনে পর্যটনের মাধ্যমে আরও মজবুত হবে দেশের অর্থনীতি।
বৃহস্পতিবার প্রথমবার নতুন সংসদ ভবনে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দেশজুড়ে আধ্যাত্মিক পর্যটন গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় পর্যটনে জোর দেবে কেন্দ্র। রাজ্যে রাজ্যে বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলোর উন্নয়ন করা হবে। প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে। লাক্ষাদ্বীপ-সহ দেশের সর্বত্র পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” এদিন অর্থমন্ত্রীর কথায় আলাদাভাবে লাক্ষাদ্বীপের নাম উঠে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষদ্বীপ সফরের পরেই মালদ্বীপ-ভারত সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। মোদিকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর দলের একাধিক নেতা। এমনকী ভারতের সমুদ্র সৈকতগুলো নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত বলেও কটাক্ষ করেন সেদেশের কয়েকজন নেতা। তার পরই নিন্দার ঝড় ওঠে। গোটা ভারত জুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’। বহু তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সোশাল মিডিয়ায় মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্লেষকদের মতে, সংঘাত আবহে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনের উপর জোর দিয়ে মালদ্বীপকেই বার্তা দিয়েছে ভারত।
বলে রাখা ভালো, ৩৬টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি লাক্ষাদ্বীপ। কিন্তু সবকটি দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি নেই। বেড়ানোর জায়গা হিসেবে পর্যটকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় মিনিকয়, কাভারত্তি, আগাত্তি, বনগরম, কদমতের মতো দ্বীপগুলো। সরকারি আইন অনুযায়ী, এই দ্বীপগুলোতে বেড়াতে গেলে বা থাকতে গেলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। এবার দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপকেও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.