সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই এক বেসরকারি সংস্থার করা বেকারত্বের সমীক্ষা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। এতটাই যে, ওই সংস্থার পালটা পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে বাধ্য হল কেন্দ্র। কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক (Labour Ministry) দাবি করল, দেশের বেকারত্বের হার রেকর্ড হারে কমেনি। বরং গত ২ বছরে ধীরে ধীরে কর্মসংস্থান বাড়ছে।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ তথা CMIE নিয়মিত বেকারত্বের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে থাকে। CMIE’র দেওয়া পরিসংখ্যানকেই মোটামুটি সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। নতুন বছরের শুরুতেই তারা দাবি করেছিল, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের বেকারত্বের হার ৮.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এর মধ্যে শহরে বেকারত্বের হার ১০.০৯ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে তা ৭.৪৪ শতাংশ। গত ১৬ মাসের মধ্যে এই হারই সর্বোচ্চ। নভেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে সেটা বেড়ে পৌঁছে যায় ৮.৩ শতাংশে।
কিন্তু কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রক CMIE’র দেওয়া এই পরিসংখ্যান মেনে নিতে নারাজ। কোনও সংস্থার নাম না করে শ্রমমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা নিজেদের মতো করে বেকারত্বের সমীক্ষা করে থাকে। এর অধিকাংশই ভিত্তিহীন এবং অবৈজ্ঞানিক। কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রক বলছে, এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষার ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই আসল পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসা দরকার।
কেন্দ্রের দাবি, দেশে বেকারত্ব বাড়ছে না, উলটে কমছে। ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ভরা করোনার সময় যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। সেখানে ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭.২ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে যেখানে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের হার ছিল ৪৩.৪ শতাংশ, সেখানে ২০২২ সালের একই ত্রৈমাসিকে দেশে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৪৪.৫ শতাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.