মণিশংকর চৌধুরি, শিলং: প্রথম দিন তাঁকে যখন ডাকা হল তখন তিনি সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন মা সরস্বতীর চরণে মাথা ঠেকিয়ে। দ্বিতীয় দিন তিনি এলেন হেলতে দুলতে। অনেকটা খোশমেজাজে। রাজীব কুমার বা অন্য সিবিআই আধিকারিকরা যেমন গাড়ি চেপে আসেন ওকল্যান্ডে, কুণাল ঘোষ তেমন নয়। বরং তিনি সিবিআই দপ্তরে দ্বিতীয় দিনের জেরায় এলেন পায়ে হেঁটে। জেরা শেষে দাবি করলেন, তাঁর নৈতিক জয় হয়েছে।
তিনদিন ধরে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। একাধিকবার টানা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তিনদিনের মধ্যে একবার কলকাতার সিপি বা সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে কেউই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। প্রথম মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ। মুখে বললেন, ‘‘কিছু বলব না।’’ আবার তিনিই দাবি করলেন, এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব তাঁর নৈতিক জয়। কীভাবে? ব্যাখ্যাও নিজেই দিলেন কুণাল ঘোষ। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বললেন, “আমাকে তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছিল। আমি এখানে এসেছি, তদন্তে শুরু থেকেই সহযোগিতা করে এসেছি। এখনও সহযোগিতা করছি। তদন্তে কী হবে সেটা পরের ব্যাপার। তদন্তের বিষয়ে আমি একটি কথাও বলব না। তবে, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, এতদিন পর রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। এতদিন পর রাজীব কুমারকে আমার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এটাকেই আমি আমার নৈতিক জয় হিসেবে মনে করি।” কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সিবিআই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবারও কুণাল ঘোষ এবং রাজীব কুমারকে মুখোমুখি বসিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। কুণাল এবং রাজীবের পরস্পরের বয়ান মিলিয়েও দেখা হয়। তৃতীয় দিনেও প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। কুণাল ঘোষ এদিন সেকথা স্বীকারও করে নেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখোমুখি বসিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, রাজীব কুমারকে মঙ্গলবার ফের তলব করা হলেও, কুণালকে আর ডাকা হয়নি। মঙ্গলবার সকালেই কলকাতা ফিরছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.