সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সংকটে কর্ণাটকের জোট সরকার। কংগ্রেস বিধায়কদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে এবার পদত্যাগের হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। শুরু থেকেই কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সংসারে অশান্তি চলছিল। এর আগে একাধিকবার জোটসঙ্গীদের উপর প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার তিনি যা করলেন, তা চরম হুঁশিয়ারি বললে অত্যুক্তি হবে না।
[আর্থিক প্রতারণায় ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব খারিজ, কে ডি সিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির]
আসলে, কর্ণাটকে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে জেডিএসকে সরকার গড়তে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। বিধায়ক সংখ্যা অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন কুমারস্বামী। কিন্তু, অনেক কংগ্রেস বিধায়কই দলের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। তাছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কর্ণাটকের সবচেয়ে প্রভাবশালী কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দারামাইয়ার অনুগামীরা তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন। বিধানসভায় প্রকাশ্যেই একথা বলছেন এস টি সোমশেখর নামের এক কংগ্রেস বিধায়ক। আর তাতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, “কংগ্রেস বিধায়করা বাড়াবাড়ি করছেন। জোটধর্ম মানছেন না। ওঁরা সংযত হোক। নয়ত কংগ্রেস চাইলে আমিই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি আছি। এসব আমার উপর কোনও প্রভাব ফেলে না। এতে আসলে ক্ষতি হবে কংগ্রেসেরই।”
যদিও, কংগ্রেস নেতারা দলের বিধায়কের আচরণকে সমর্থনই করছেন। কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলছেন, ” সিদ্দারামাইয়া কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা। তিনিই আমাদের নেতা। তাই আমাদের বিধায়করা তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করেন। এতে দোষের কিছু দেখছি না।” সিদ্ধারামাইয়া নিজে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তিনি বলছেন, “সংবাদমাধ্যমের জন্যই আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আপনারা প্রথম জনকে এক কথা বলেন, দ্বিতীয় জনকে আরেক কথা বলেন, তৃতীয় জনকে আরেক কথা বলেন। তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমি নিজে কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলব।” আসলে, সম্প্রতি কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল হয়েছে। যার জেরে একদিকে নেতা, আরেকদিকে বিধায়করা। কেউ কারও কথা মানতে চান না। আর সেকারণেই দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন তাঁরা। কারণ যাই হোক, কর্ণাটকের জোট সরকারের এই যায় যায় অবস্থা, গোটা দেশে ভুল বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর তা আন্দাজ করতে পেরেই হয়তো আসরে নেমেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যেই টিএস সোমশেখর নামে ওই বিধায়ককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইসিসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.