সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিগেডের মঞ্চে যতই ঐক্যের ছবি দেখা যায়, বিরোধী জোটের নেতা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতবিরোধ ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। ব্রিগেড থেকে ফিরে চেন্নাই গিয়েই ডিএমকে সুপ্রিম স্ট্যালিন ঘোষণা করেছিলেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গান্ধীকেই চাইছে তামিলনাড়ু। বিহারের বিরোধী শিবিরের অন্যতম নেতা তথা লালুপুত্র তেজস্বী যাদবও রবিবার জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গায় আছে কংগ্রেসই। বলা বাহুল্য, এতে খানিকটা হতাশই হয়েছিল তৃণমূল শিবির। তবে, এবার ঘাসফুল শিবিরকে স্বস্তি দিয়ে মমতার প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিকে সমর্থন করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি বললেন, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সমস্ত গুণই তৃণমূলনেত্রীর রয়েছে।
ব্রিগেডের ঐক্যবদ্ধ বিরোধী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে মুখে কুলুপ এটেছিলেন সব বিরোধী নেতাই। তাদের একটাই কথা, আগে মোদিকে সরাও, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা পরে ঠিক হবে। আসলে সকলেই জানেন, বিরোধীদের আপাত ঐক্যের যে ছবি দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে সেই ঐক্য তছনছ হয়ে যেতে পারে। তাই ব্রিগেডের সমবেত জনতার সামনে সাবধানী ছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু নিজ নিজ রাজ্যে গিয়েই একে একে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম জানাচ্ছেন নেতারা। স্ট্যালিন, তেজস্বীরা রাহুলের নাম বললেও কংগ্রেসের জোটসঙ্গী জেডিএস এবার মমতার পাশে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এবার সাফ জানিয়ে দিলেন, “মমতা দেশের সবচেয়ে সরল নেত্রী। আমার বিশ্বাস দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সবরকম যোগ্যতা তাঁর রয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলনেত্রী পশ্চিমবঙ্গকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।” মমতার প্রশংসা করলেও, জোটের নেতা নির্বাচনের বিষয়টি ভোটের পরে করারই পক্ষপাতী কুমারস্বামী। তিনি বলেন, “দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য নেতা অনেক আছে। অনেক এমন নেতা আছেন যারা এই সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে পারবেন। তবে, এখনই এ নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই। আমরা ভোটের পরই নেতা নির্বাচন করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.