সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তান যদি কোনওরকম ‘প্রহসনমূলক’ পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে ভারত ফের আন্তর্জাতিক আদালত অথবা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হবে। বৃহস্পতিবার এভাবেই পরোক্ষে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিল নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: উলটপুরাণ! কুলভূষণ মামলায় জয়ের দাবি করল পাকিস্তান]
দ্বিচারিতায় পাকিস্তানের জুড়ি মেলা ভার৷ আন্তর্জাতিক আইন বা চুক্তিকে তেমন একটা গ্রাহ্য করে না সে দেশের প্রশাসন৷ ফলে কুলভূষণ যাদব মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের (আইসিজে) রায় ঘোষণার পরও ইসলামাবাদের উপর সর্বক্ষণ সজাগ দৃষ্টি রাখছে নয়াদিল্লি৷ এই মামলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রধান আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে আমাদের জয় হয়েছে৷ কুলভূষণ যাতে ন্যায্য শুনানির সুযোগ এবং সুবিচার পান, সে বিষয়ে আমরা তাঁকে সাহায্য করতে পারব।” সাংবাদিকদের সালভে জানান, কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। যাতে পাক আদালতে শুনানি চলাকালীন কুলভূষণকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু, পাকিস্তান যদি আইসিজে-র নির্দেশ না মানে? এই প্রশ্নের উত্তরে দুঁদে আইনজীবী সালভে বলেন, “আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হলে, আমরা ফের আইসিজে-র দ্বারস্থ হতে পারি। যদি কোনও দেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ অমান্য করে, তাহলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞার মতো অন্য রাস্তাও খোলা রয়েছে।”
বুধবার কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের, বলে রায় দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত৷ কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি আবদুল কোয়াই আহমেদ ইউসুফ। তবে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কুলভূষণ মামলায় আইসিজে-র নির্দেশে একাধিক ফাঁকফোকর খুঁজে বের করতে পারে পাকিস্তান৷ যেমন মৃত্যুদণ্ডের সাজা ‘পুনর্বিবেচনা’ করার কথা বলেছে আইসিজে৷ ফলে ফের মামলা শেষে ওই রায় বহাল রাখতে পারে পাকিস্তান৷ তবে এবার সেনা আদালতে না গিয়ে সাধারণ আদালতেই দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চালাতে পারে সে দেশ৷ সেক্ষেত্রে নিকট ভবিষ্যতে কুলভূষণের দেশে ফেরা সহজ হবে না৷
[আরও পড়ুন: কেন নোবেল পেলেন? ইয়াজিদি তরুণীকে বেনজির অপমান ট্রাম্পের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.