সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মথুরার শাহী ইদগাহের জায়গায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান ছিল বলে দাবি জানিয়ে লখনউ জেলা আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন লখনউয়ের বাসিন্দা জনৈক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী-সহ ৬ জন। শুক্রবার তার বিরোধিতা করে আদালতে হলফনামা দাখিল করল মথুরার শাহী ইদগাহ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মথুরায় (Mathura) অবস্থিত কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ইদগাহের (Shahi Idgah) জায়গাতেই শ্রীকৃষ্ণের আসল জন্মস্থান বলে দাবি করে অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বৃহস্পতিবার ওই ১৩.৩৭ একর জমি কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কর্তৃপক্ষের অধীনে হস্তান্তরিত করার আবেদন জানিয়ে লখনউয়ের জেলা আদালতে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন অগ্নিহোত্রী-সহ ৬ জন। মামলাকারীদের দাবি, ১৯৮০ সালে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও শাহী ইদগাহ কর্তৃপক্ষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল তা বাতিল করতে হবে। আর ওই এলাকা থেকে ইদগাহকে সরিয়ে ১৩.৩৭ একর জমি মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে। শুক্রবার সেই মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় মথুরার শাহী ইদগাহ কর্তৃপক্ষ। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
এপ্রসঙ্গে লখনউ জেলার সরকারি আইনজীবী শিবরাম সিং জানান, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে একটি পুরোহিতদের ও আরেকটি সামাজিক সংগঠনের তরফে। এই মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি মাথায় রেখে বিচার করার অনুরোধ করেছে তারা। আর তৃতীয় মামলাটি করেছে হিন্দু আর্মি নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। হলফনামায় শাহী ইদগাহটি সরানোর আবেদন জানিয়েছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই স্লোগান উঠেছিল, ‘রাম মন্দির তো ঝাঁকি হ্যায়, অভি মথুরা-কাশী বাকি হ্যায়।’ তখনই বোঝা গিয়েছিল হিন্দুত্ববাদীরা দেশে বিভিন্ন প্রান্তেই এই ধরনের দাবিতে সরব হবে কিংবা মামলা করবে। মথুরার ঘটনা সেই প্রমাণই দিল!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.