প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটায় (Kota) ফের আত্মঘাতী এক পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোর। চলতি বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে রাজস্থানে এসেছিল সে। একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র ছিল মৃত পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার হস্টেলের ঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এই নিয়ে ১৭ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে কোটায়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন এতজন মেধাবী পড়ুয়া চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন?
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মনজ্যোত ছাবরা। উত্তরপ্রদেশের রামপুর এলাকার বাসিন্দা। চলতি বছরের শুরুর দিকেই পড়াশোনার জন্য কোটায় চলে যায় ১৭ বছরের কিশোর। NEET পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার জন্য একটি কোচিং সেন্টারে ভরতি হয়ে পড়াশোনা শুরু করে সে। বৃহস্পতিবার সকালে তার ঘর থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে কিভাবে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও পুলিশ কিছু জানায়নি।
চলতি বছরের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত ১৭ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন কোটায়। আইআইটি থেকে শুরু করে মেডিক্যাল, একাধিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে কোটায় যান মেধাবী পড়ুয়ারা। কিন্তু তারপরেই একের পর এক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার খবর মেলে। গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের রামপুরের আরও এক পড়ুয়া মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মঘাতী হন। লক্ষ্য ছিল ভারতের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটিতে সুযোগ করে নেওয়া। সেই কারণেই কোটার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিং সেন্টারে ভরতি হয়েছিলেন। মাস দুয়েক আগেই কোটায় এসেছিল সে।
কোটাতে ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। একের পর এক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে, আর সেই সঙ্গেই কোটাতে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। কারণ একটাই, প্রতিযোগিতামূলক কঠিন পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়া। গত বছর ১৫ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হন এই শহরে। এ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ ছুঁয়ে ফেলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.