সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কোটার শিশুমৃত্যুর ঘটনা। শুক্রবার সকালেই মৃতের সংখ্যা ১০৪ ছাড়িয়েছে বলে জেকে লোন হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছে জানতে চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি অবিনাশ পান্ডে’কেও দিল্লিতে তলব করেন তিনি।
এই বৈঠকের পর অবিনাশ পান্ডে বলেন, ‘আমার কাছে শিশুমৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। আমি তাঁকে এই বিষয় বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। সবকিছু শোনার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এবিষয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশও দেন।’ এতগুলি শিশুমৃত্যুর জন্য গেহলট প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্যই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাদের এই অভিযোগ মানতে চাননি অবিনাশ পান্ডে। উলটে তিনি দাবি করেন, বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। শিশুমৃত্যুর ঘটনার জন্য যদি কেউ দায়ী থাকে, তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
সোনিয়া গান্ধীর তলবের পর এই বিষয়ে টুইট করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে তাকে স্বাগত জানাই। রাজস্থানকে রোগমুক্ত করতে রাজ্য সরকারও সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শিশুমৃত্যুর এই বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও স্পর্শকাতর। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে কোনও রাজনীতি না হওয়াই কাম্য। তবে গত পাঁচ বছরের তুলনায় এবার শিশুমৃত্যুর সংখ্যা কম।’
তাঁর এই টুইটের পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। রাজস্থানের এই ঘটনার সঙ্গে ২০১৭ সালের আগস্টে উত্তরপ্রদেশের BRD হাসপাতালের শিশুমৃত্যুর ঘটনার তুলনা টানা হচ্ছে। সেসময় শিশুমৃত্যুর জন্য সদ্য ক্ষমতায় আসা যোগী আদিত্যনাথকে প্রচুর সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল দেশজুড়ে। এখন সেই একই ঘটনা ঘটছে রাজ্যস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.