সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিলেন সেনা জওয়ান সন্তান৷ ছেলের মৃত্যুর ক্ষত এখনও টাটকা৷ তবে জঙ্গিদের সঙ্গে আপস করতে নারাজ সন্তানহারা বাবা৷ তাই বাকি দুই সন্তানও সেনাবাহিনীতে যোগ দিক, এমনটাই চাইতেন বৃদ্ধ৷ দেশকে বাঁচানোর ব্রত নিয়ে ১৫৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের হয়ে কাজ শুরু করলেন জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে নিহত সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবের দুই ভাই৷
দেশ বাঁচানোর কাজে ব্রতী৷ সারাবছর তাই উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় মোতায়েন থাকতেন ঔরঙ্গজেব৷ ইদের ছুটি কাটাতে এসেছিলেন বাড়িতে৷ একদিন সন্ধেয় বাড়িতে আসে আততায়ীরা৷ ভারতীয় সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে অপহরণ করে খুন করা হয়৷ রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর৷ শহিদের মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ঔরঙ্গজেবের৷
গতবছরের জুন মাসে ছেলে মারা গিয়েছে৷ বছরখানেক কাটলেও ছেলের মৃত্যুশোক এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি ঔরঙ্গজেবের বাবা মহম্মদ হানিফ৷ আজও একা বসে থাকলেই ছেলের কথা ভেবে চোখের কোণে জল আসে তাঁর৷ সন্তানহারা বাবা বলেন, ‘‘জানি হয়তো কোনওদিনই ছেলের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে না৷ শাস্তি পাবে না কেউই৷’’ সেনাবাহিনীতে চাকরি করায় ছেলেকে খুন হতে হয়েছে, তা জানেন ঔরঙ্গজেবের বাবা৷ তবে ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি আস্থা হারাতে নারাজ মহম্মদ হানিফ৷ দেশের জন্য লড়াই যাঁরা করেন, তাঁদেরই যেন নিজের ছেলে বলে মনে হয় বলেই জানান তিনি৷
ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরেও নিজের বাকি দুই সন্তানকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন তাঁর বাবা৷ সেইমতো প্রশিক্ষণ নেন ঔরঙ্গজেবের ভাই মহম্মদ তারিক এবং মহম্মদ সাবির৷ প্রশিক্ষণ শেষে ১৫৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে যোগ দিয়েছেন দুজনে৷ ঔরঙ্গজেব যে কখনও ফিরে আসবেন না সেই কঠিন সত্য খুব কষ্ট করে মেনে নিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা৷ সন্তানহারা বৃদ্ধের একটাই আশা, সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুবাদে ঔরঙ্গজেবের ভাইদের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন নিহত সেনা জওয়ান৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.