Advertisement
Advertisement

জীবনের ভার বড্ড বেশি, রাষ্ট্রপতির দরবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন দম্পতির

এই ইচ্ছে কি তাঁদের পূরণ হওয়া সম্ভব?

Kill us life is too taxing, Mumbai elderly couple’s letter to President
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 9, 2018 9:59 am
  • Updated:January 9, 2018 9:59 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স গড়িয়েছে। সন্তান-সন্ততি নেই। এই বয়সে এসে নিজেদের জীবনের ভার অন্য কারও কাঁধে দিতে চান না তাঁরা। বৃদ্ধাশ্রম বা এরকম কোনওকিছুর আশ্রয়ও পছন্দ নয়। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে চিঠি লিখলেন মুম্বইয়ের এক দম্পতি।

সন্ত্রাসদমন অভিযান অব্যাহত উপত্যকায়, সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি ]

Advertisement

একজনের বয়স ৮৬। অন্যজনের ৭৯। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জীবন তারপর গড়গড়িয়েই চলেছে। এখন একেবারে প্রান্তে এসে উপস্থিত। জরা গ্রাস করেছে। শরীর অশক্ত। মৃত্যুর অপেক্ষায় এখন দিনগোনা। যদিও তেমন কোনও অসুখবিসুখে আক্রান্ত নন তাঁরা। কিন্তু একদিন না একদিন সে সমস্যায় পড়তেই হবে। কিন্তু আজীবন নিজেদের ইচ্ছেতেই মাথা তুলে জীবনযাপন করেছেন। এখন তাই কারও কাঁধে ভর দিয়ে চলা তাঁদের না-পসন্দ। তাঁদের জন্য অন্য কেউ বিব্রত হোক, এমনটাও পছন্দ নয় তাঁদের। তাই কোনও বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ করেননি। বরং খোদ রাষ্ট্রপতির দরবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। সেই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা।

জেলেও বহাল রাজ্যপাট, প্রভুভক্ত রাঁধুনি ও পরিচারককে নিয়ে খোশমেজাজে লালু ]

দম্পতির নাম নারায়ণ ও ইরাবতী লাভাতে। মুম্বইয়ের ঠাকুরদ্বারের বাসিন্দা তাঁরা। কিন্তু এই ইচ্ছে কি তাঁদের পূরণ হওয়া সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমাদের দেশে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নেই। যে দেশে তা আইনসঙ্গত, সেখানেও কোনও কঠিন অসুখে আক্রান্ত না হলে সে অনুমতি দেওয়া হয় না। এই দম্পতি সেরকম কোনও মারণরোগে আক্রান্ত নন। ফলে তাঁদের এই আবেদন যে রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করবেন, এমনটা কেউই মনে করছেন না। কিন্তু সেক্ষেত্রে আরও বৃদ্ধ অবস্থায় তাঁদের দেখভাল কে করবেন? কীভাবেই বা নিজেদের স্বনির্ভরতার রেওয়াজ বজায় রাখবেন? দু’জনেই ছিলেন সুচাকুরে। ফলে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা তাঁদের নেই। কিন্তু জীবনের এক অদ্ভুত সমস্যায় দাঁড়িয়ে তাঁরা।

অরুণাচলে ফের লালফৌজের আগ্রাসন রুখে দিল ভারতীয় সেনা ]

২০১১ সাল থেকেই স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠে দেশে। ধর্ষিতা অরুণা শানবাগের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করা হয় আদালতে। যদিও তিনি তা নিজে করতে পারেননি। ধর্ষিতা ও নির্যাতিতা হওয়ার পর প্রায় তিরিশ বছর অসাড়-অক্ষম অবস্থাতেই বেঁচে ছিলেন শানবাগ। সে তর্কের মধ্যেই প্রয়াত হন অরুণা। কিন্তু এই বিতর্কের আজও অবসান হয়নি। সর্বোচ্চ আদালতেও স্বীকৃতি মেলেনি। ফলে এই দম্পতির আবেদন গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে এই আবেদন নতুন করে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জাগিয়ে তুলল।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement