সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই নদীতে না কি দুবার স্নান করা যায় না!
কথাটা বলে গিয়েছেন বৌদ্ধ দার্শনিকরা! তাঁদের দাবি, এই পৃথিবীর সব কিছুই পরিবর্তনশীল। এবং, এই পরিবর্তন প্রতি মুহূর্তে চলতে থাকে। সেকেন্ডে সেকেন্ডে তাই বৌদ্ধ দর্শন মতে বদলে যায় সব কিছু। যে নদী দেখা যাচ্ছে চোখের সামনে, সেটাও এই নিয়মে নিয়ত পরিবর্তনশীল। তাই যে নদীতে স্নান সাঙ্গ হল, পরের বার আর সেখানে স্নান সম্ভবই নয়!
কিন্তু, এমন নদীও কি হয়, যেখানে পা রাখলেই এক লহমায় বদলে যায় অস্তিত্বের সংজ্ঞা? জীবিত থেকে চলে যেতে হয় মৃতের দলে?
হবে না কেন! কত খরস্রোতা নদীই তো আছে এই দেশে!
কিন্তু, যে নদীতে জল খুবই সামান্য? ডুবে যাওয়ার মতোই নয়?
সে ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠাঁই পাবে রহস্যের এক্তিয়ারে!
নয়াদিল্লির রোহিণী এলাকার খুনি নদীও তাই অপরিসীম রহস্যের ডেরা। যে নদীতে একবার নামলেই কেউ আর জীবন্ত ফেরে না!
কেন?
কারণ লুকিয়ে রয়েছে পরপারে! বলা হয়, এক সময় এই নদীকে অত্যাচারী শাসকরা ব্যবহার করতেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার স্থান হিসেবে। জীবন্ত ডুবিয়ে মারা হত এখানে অপরাধীদের। কখনও বা, মাথা কেটে লাশ ফেলে দেওয়া হত নদীর জলে।
এর পর সময়ের খাত দিয়ে অনেক জলই বয়ে গিয়েছে। কিন্তু, রোহিণী নদীর এই খাতে ধীরে ধীরে কমে এসেছে জলের পরিমাণ। এতটাই কমে এসেছে যে বড় জোর হাঁটু ডুববে!
কিন্তু, নদীর জলে কেউ পা দিতে সাহসই পান না! নদীতে চোরাবালি নেই, জলও গভীর নয়, তার পরেও লোকে ডুবে যায়। কেউ বেঁচে ফেরে না।
তবে, নদীর জলে পা দেওয়া তো অনেক দূরের কথা! স্থানীয়রা নদীর ধারেও বড় একটা যান না! তাঁরা বলেন, কাছে গেলেই এই নদী না কি মানুষকে ভুলিয়ে ঠিক জলে টেনে নেয়!
এছাড়াও অনেকে বলেন, খুনি নদীর ধারে সন্ধের পরে গেলেই নানা অদ্ভুত অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। কখনও শোনা যায় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলার শব্দ, কখনও কানে আসে হাসি বা কান্নার আওয়াজ! অনেকে এই সব আওয়াজ শুনে পালাতে গিয়েও পড়ে গিয়েছেন নদীতে। তার পর আর বেঁচে ফেরেননি!
খুনি নদীর তৃষ্ণা অবশ্য কিছুতেই মেটে না। ঠিক সে অপেক্ষা করে থাকে শিকারের জন্য!
আর যখন শিকার মিলে যায়?
পরিণতি তো জানাই!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.