ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: হাজারও বাধাবিপত্তি, একাধিক হামলা। এত প্রতিকূলতা পেরিয়েও নির্দিষ্ট দিনে ত্রিপুরায় খেলার ময়দানে নেমে কার্যত দাপালেন তৃণমূল(TMC) সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে জমিয়ে ফুটবল খেললেন বিপ্লব দেবের রাজ্যের একাধিক তৃণমূল সমর্থকও। সকলের পরনে সাদা-কালো জার্সি, লেখা ‘জিতবে ত্রিপুরা’। আর সোমবার সকালে ‘খেলা হবে’ দিবস (Khela Hobe Diwas) পালন করতে নেমে ত্রিপুরা জয় নিয়ে যে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল, আরও একবার সেই বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনরা।
বাংলার বাইরে ‘খেলা হবে’ দিবস পালনে বেশ কয়েকটি রাজ্য টার্গেট ছিল রাজ্যের শাসকদলের। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) রাজ্য গুজরাট এবং যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ‘খেলা হবে’ কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল। তবে গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশ – দুই রাজ্যেই শেষ মুহূর্তে প্রশাসন বাতিল করে দেয় তৃণমূল আয়োজিত ফুটবল ম্যাচ। তবে ত্রিপুরায় হাজারও বাধাবিপত্তির মধ্যেও ‘খেলতে’ মরিয়া ছিলেন দলের সাংসদরা। সোমবার সকালেই আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান, যা আস্তাবল ময়দান নামে অতি পরিচিত, সেখানেই খেলতে নামলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেনরা। এই বিশেষ দিনে ফুটবল ম্যাচের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন জার্সি – জিতবে ত্রিপুরা। প্রসঙ্গত, এটাই আগামী তেইশে ত্রিপুরা জয়ে তৃণমূলের মূল স্লোগান।
এই ‘খেলা হবে’ দিবসকে সামনে রেখে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ত্রিপুরায় রয়েছেন তৃণমূলের ৮ সাংসদ। এর মধ্যে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষের মতো মহিলা সাংসদরাও রয়েছেন। ছিলেন দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দারও। কিন্তু রবিবার সাবলুম নন্দীগ্রাম এলাকায় দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাঁরা হামলার মুখে পড়ে আক্রান্ত হন। দোলা সেনের আপ্ত সহায়কের আঘাত অনেক বেশি। তাই তাঁরা তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে এসএসকেএমে চিকিৎসা করান। এই পরিস্থিতিতে ‘খেলা হবে’ দিবসের ঠিক আগে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে ধাক্কা দেওয়ার উদ্দেশে হামলা চললেও সোমবার সকালে স্বমহিমায় মাঠে দাপিয়ে বেড়ালেন দলের অন্যান্য সাংসদরা। বুঝিয়ে দিলেন, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি দখলের লক্ষ্য থেকে এত সহজে তৃণমূলকে বিচ্যুত করা যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.