সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল কেরলে। দেশে প্রথম এই বামশাসিত রাজ্য ঘোষণা করল, তিরুঅনন্তপুরমে যেভাবে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে ওই জেলা গোষ্ঠী সংক্রমণের আওতায় ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তিরুঅনন্তপুরমের চারটি এলাকাকে চিহ্নিত করে জানিয়েছেন, সংক্রমণের হারে এসব জায়গা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল দক্ষিণের এই রাজ্যেই। যদিও তা ভিনদেশি বাসিন্দাদের হাত ধরে। সর্বপ্রথম মারণ জীবাণুতে আক্রান্ত হন সৌদি আরবে কর্মরত কেরলের এক নার্স। আর শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে সতর্ক হয়ে গিয়েছিল বামশাসিত এই রাজ্য। তার পরবর্তী সময়ে যেভাবে সংক্রমণ রুখতে কাজ করেছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা এবং তাঁর টিম, তা দেশের কাছে রীতিমতো ‘মডেল’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই কারণেই এ রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম ছিল অনেক। করোনা যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে থাকার জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল পিনারাই বিজয়নের রাজ্য।
কিন্তু যুদ্ধটা বোধহয় শেষ পর্যন্ত জেতা গেল না। শেষবেলায় ফের করোনার দাপট ফিরল দক্ষিণের এই রাজ্যে। ভারতের মধ্যে প্রথম রাজ্য কেরল, যারা ঘোষণা করতে বাধ্য হল যে কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে, অর্থাৎ শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission)। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন ঘোষণা করেছেন, তিরুঅনন্তপুরমের চারটি অঞ্চল – পুল্লুভিলা, পুনথুরা, আঞ্চুথেঙ্গু এবং পুথুক্কুরিশিতে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাকে গোষ্ঠী সংক্রমণের অ্যাখ্যা দিতেই হচ্ছে। এখানে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছেন, অর্ধেক মানুষই COVID পজিটিভ।
নতুন করে রাজ্যের ২০টি অঞ্চলকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা নিয়ে কেরলে মোট হটস্পটের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৫। বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে করোনা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হচ্ছে কেরলকে। সেনাপতি সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী শৈলজা। তাঁর নিখুঁত পরিকল্পনায় ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.