সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে কমেছে বৃষ্টি৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন কেরলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই৷ কোঝিকোড়, আলেপ্পুঝার চেঙ্গানুর, ত্রিশূরের অবস্থার সেভাবে উন্নতি হয়নি৷ বহু জায়গা থেকে ধীরে ধীরে জল সরছে৷ ধ্বংসের চিহ্ন নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দক্ষিণের রাজ্য৷
স্বাভাবিকের পথে পরিবহণ পরিষেবা৷ এখনও কোচি বিমানবন্দরের রানওয়েতে জল জমে রয়েছে৷ নৌবাহিনীর বিমানঘাঁটি থেকে চলছে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহি বিমান৷ প্রায় ২২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বিমানবন্দরটির৷ জল, খাবারের পাশাপাশি পেট্রল ও ডিজেলবাহী জাহাজ পৌঁছেছে কোচি বন্দরে৷ তিরুবনন্তপুরম থেকে ২০০কিলোমিটার দূরে এর্নাকুলাম পর্যন্ত ট্রেন চলছে৷ কর্নাকুলাম, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম ও পালাক্কাড়, শোরানুর, কোঝিকোড়ে রেলপথ চালু রয়েছে৷ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ পরিষেবারও৷ ৮৫ হাজারের মধ্যে ৭৭ হাজার মোবাইল টাওয়ার ফের চালু হয়েছে৷ কিন্তু ইদুক্কি জেলার টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে৷ কিছুটা উন্নতি হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবার৷ তবে রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব মেটেনি এখনও৷
জ্বর, মাথা যন্ত্রণা ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন বন্যাবিধ্বস্তরা৷ মশাবাহিত রোগেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ ত্রাণশিবিরে থাকা বন্যার্তদের নিয়মিত চিকিৎসা করা হচ্ছে৷ এর্নাকুলাম, পাঠানামথিত্তা, ত্রিশূরে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেডিক্যাল টিম৷ চিকিৎসকরা বলেন, ‘‘বন্যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন আমরা৷ জলের তোড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ কিন্তু বন্যার পর কেউ শারীরিক অসুস্থতায় মারা যান, তা আমরা চাই না৷’’ মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতাল, বিজে মেডিক্যাল কলেজ ও পুণের একটি হাসপাতাল থেকে ৯০ জন চিকিৎসক বন্যা বিপর্যস্তদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন৷ চিকিৎসকদের দাবি, ‘‘জলজনিত ও মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনই বহু দুর্গতই ভুগছেন আতঙ্কে৷ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে দুর্গতদের৷ তাঁদেরও কাউন্সেলিং করা হচ্ছে৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.