সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেরলে পা রাখার বিস্তর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে আনার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দফায় দফায় কেরলে জনসভা, কর্মিসভা সবই করেছেন। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি লোকসভায়। কেরলবাসী বিজেপিকে ফিরিয়েছে শূন্য হাতেই। উলটে, রাহুল গান্ধী কেরল থেকে প্রার্থী হওয়ায় গোটা রাজ্য ঝড় বয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের। ঈশ্বরের আপন দেশের ২০ টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসনই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জিতেছে। কিন্তু, তাতেও হাল ছাড়ছে না বিজেপি। আর সেকারণেই হয়তো লোকসভায় জয়ের পর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর হিসেবে কেরলকেই বেছে নিয়েছেন মোদি। সেখানে গিয়েও একাত্মতার বার্তা দিয়ে এসেছেন মোদি।
কেরলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে এলেন,”আপনারা আমায় প্রত্যাখ্যান করলেও, আপনাদের জন্য আমার মনে বিশেষ জায়গা আছে।” মুখে বললেন, “গণতন্ত্রে নির্বাচনের আলাদা ভূমিকা আছে। যে জিতছে তাঁর দায়িত্ব ১৩০ কোটি মানুষের খেয়াল রাখা। যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, বা যাঁরা দেননি, প্রত্যেকেই আমাদের আপন। কেরলও আমার কাছে বারাণসীর মতোই আপন। বিজেপি কর্মীরা শুধু ভোটে জেতার জন্য পরিশ্রম করেন না। তাঁরা পরিশ্রম করেন সারা বছর ধরে মানুষের সেবা করার জন্য। আমরা এখানে শুধু সরকার গড়ার জন্য আসিনি। আমরা এসেছে নিশ্চিত করতে যে, ভারত বিশ্বজুড়ে উপযুক্ত সম্মান পাবে।”
মোদির পাশাপাশি রাহুল গান্ধীও কেরল সফরে রয়েছেন। রাহুল সোমবারই ওয়ানড়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বিজয় মিছিল করেছেন। সেই মিছিলে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলকে কংগ্রেসের সভাপতি পদ না ছাড়তেও অনুরোধ করেন কেরলের সমর্থকরা। কংগ্রেস সভাপতি এদিন দাবি করেন, “মোদি ভোটে জিতেছে মিথ্যা আর ঘৃণা ছড়িয়ে। আমরা ভালবাসা দিয়ে সেই মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.