সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজির গড়ল কেরল হাই কোর্ট। সামাজিক ট্যাবু ভেঙে মুসলিম প্রেমিক-প্রেমিকাকে একসঙ্গে থাকার অনুমতি দিল আদালত। শুক্রবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়।
কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি ভি চিতাম্বরেশ ও বিচারপতি কে পি জ্যোতিন্দ্রনাথের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। জানায় ১৯ বছরের একজন মেয়ে ও ১৮ বছরের একজন ছেলে অনায়াসেই একসঙ্গে থাকতে পারে। কারণ তারা প্রাপ্তবয়স্ক। এক্ষেত্রে যদিও ছেলেটির বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু তা লিভ-ইনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আলফুজার মহম্মদ রিয়াদের আবেদনের বিরুদ্ধে এই রায় দেয় আদালত। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর ১৯ বছরের মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় এক ১৮ বছরের ছেলে। এখন তারা লিভ-ইন করতে চাইছে।
[ রাতের ট্রেনে ২৯ জন ঘুমন্ত টিকিট পরীক্ষককে ধরলেন রেলের কর্তা ]
আদালত জানায়, লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। এখন সমাজে লিভ-ইন সম্পর্ক ক্রমাগত বাড়ছে। বাবা মায়েরা তাদের ঘরে আটকে রাখতে পারে না। কারণ, তারা প্রাপ্তবয়স্ক। আদালত যে কোন প্রাপ্তবয়স্কের অধিকারকে সম্মান করে। তার মধ্যে একটি হল লিভ-ইন সম্পর্ক। তবে প্রচলিত সমাজে এটি স্বীকৃত নয়। আদালত মেয়েটিকে ছেলেটির সঙ্গে স্বাধীনভাবে লিভ-ইন করার অনুমতি দিয়েছে। পরে ছেলেটি বিয়ের বয়সে পৌঁছলে তাকে বিয়েও করতে পারবে।
[ একদিনেই অকেজো সরকারি পোর্টাল, রমরমিয়ে চলছে চাইল্ড পর্নগ্রাফি ]
আদালত আরও জানিয়েছে, ছেলেটি ও মেয়েটি একসঙ্গে থাকবে। তার মানে আইনি বিয়ে না হলেও তারা স্বামী-স্ত্রীর মতোই সময় কাটাবে। মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মেয়েকে ছেলেটির সঙ্গে থাকতে দিতে রাজি। তবে তাদের দু’জনকে আইন অনুয়ায়ী বিয়ে করতে হবে। মেয়েকে লিই-ইন রিলেশনে থাকতে দিতে তিনি রাজি নন। তাঁর মতে, ছেলেটির এখনও ২১ বছর হয়নি। ফলে আইনের চোখে সে এখনও বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠেনি। সেখানেই আপত্তি তুলেছেন মেয়ের বাবা মহম্মদ রিয়াদ। মেয়েটি এখন প্রাপ্তবয়স্কা। তাই সে কারওর সঙ্গে লিভ-ইন করতেই পারে। সেই অধিকার তার রয়েছে। আইন তার এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.