সংবাদ প্রতিডিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যে মদ বিক্রিতে ছাড় দেওয়ায় পিনারাই বিজয়নের সরকারকে ভর্ৎসনা করে কেরল হাই কোর্ট(Kerala High Court)। নভেল করোনা ভাইরাসের(COVID-19) সংক্রমণের আতঙ্কে দেশজুড়ে লকডাউনের পর কেরালা প্রশাসন জানায় বৈধ প্রেসক্রিপসন দেখালেই মিলবে মদ। তবে সেই যুক্তি মানতে নারাজ কেরল হাই কোর্ট। প্রেসক্রিপসন দেখিয়ে মদে আসক্ত ব্যক্তি মদ কিনতে থাকলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হবে বলে জানায় হাই কোর্ট।
লকডাউন জারি হওয়ার পরও প্রথমের দিকে কেরলে মদ বিক্রিতে কোনও লাগাম লাগায়নি পিনারাই বিজয়নের সরকার। বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে পরে অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হন তিনি। তবে মদের দোকান বন্ধ হলে পর কেরলে আত্মহত্যা করেন বেশ কয়েকজন, অস্থিরতা দেখা যায় মদে আসক্তদের মধ্যে। তাই প্রাণ বাঁচাতে কেরল সরকার জানায়, প্রেসক্রিপসন দেখিয়ে অল্প মদ কিনতে পারবেন মদে আসক্ত ব্যক্তি। এক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি ছিল, যে ব্যক্তিরা মদ ছাড়ার চেষ্টা করছেন অর্থাৎ যাদের ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’ আছে তাদের সামান্য মদ দিতেই হবে এটা চিকিৎসা পদ্ধতির অঙ্গ। তবে সরকারের যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়ে কেরল হাই কোর্ট বিরক্তিপ্রকাশ করে। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তকে বিপর্যকারী বলেও মন্তব্য করে। লকডাউনের মাঝে কেরল সরকার মদের দোকানকে লকডাউনের আওতা থেকে বাইরে রাখলে সমাজকর্মী, চিকিৎসক, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসিয়েশনের কেরল শাখা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে চিকিৎসক মহল থেকে একটি শর্ত জারি করা হয়, চিকিৎসকের সার্টিফায়েড প্রেসক্রিপসন ছাড়া মদ বিক্রি করা যাবে না। ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’ থাকা ব্যক্তিকে মনোবিদ বা চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে, শুধুমাত্র এক বোতল মদ হাতে নিয়ে বসলেই হবে না। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তাঁদের চিকিৎসা করাতে হবে। এদিকে কেরল হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে সরকারকে হাই কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় লকডাউনের মধ্যে দ্রুত সরকারকে মদ বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে।
এই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার কেরল হাই কোর্টে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানান,”মদের দোকান খোলা রেখে সরকার বিপর্যয়ের রাস্তা প্রশস্ত করছে। তাই লকডাউন পরিস্থিতিতে মদ বিক্রিতে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.