সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল কেরলের (Kerala Goverment) সরকার। বিশেষ প্রস্তাব এনে রাজ্যপালকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোটাভুটি হয় কেরলের বিধানসভায়। বুধবারের এই ভোট প্রক্রিয়ায় কেরল বিধানসভার অধিকাংশ বিধায়কই প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন। বেশ কিছুদিন ধরেই কেরল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। তারপরেই বিধানসভায় রাজ্যপালের অপসারণ নিয়ে বিল আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেরল সরকার। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতে চায় কেরল সরকার। নামী শিক্ষাবিদরা যেন আচার্য পদে বসতে পারেন, এমনই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একসঙ্গে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তারপর থেকেই কেরল সরকারের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চরমে ওঠে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। তাঁর মতে, রাজ্যপালের এই আহ্বান জানানোর এক্তিয়ারই নেই। তিনি সংবিধান এবং গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “গণতন্ত্রকে সম্মান করে এমন কেউই এই ধরনের প্রবণতা মেনে নিতে পারবেন না। রাজ্যপাল (Kerala Governor) আরএসএস-এর এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।” তিনি জানান, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে প্রত্যাহার এবং তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আরজি জানাবে কেরল সরকার।
বুধবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান পালটাতে বিল আনা হয়েছে। কেরলের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তার বদলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের আচার্য পদে নিযুক্ত করা হবে।” প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন বাম গণতান্ত্রিক জোট চলতি মাসে রাজ্যপালের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্যের সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি আদালতেও এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.