Advertisement
Advertisement
কেরল পিনারাই বিজয়ন

কেরলে ৩০ কেজি সোনা পাচারে নাম জড়াল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবের! ঘোর অস্বস্তিতে বামেরা

ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিবকে।

Kerala Gold Smuggling Case, Opposition Targets CM Office
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 7, 2020 5:01 pm
  • Updated:July 7, 2020 5:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামশাসিত কেরলে (Kerala) বড়সড় সোনা পাচার চক্রের হদিশ। ৩০ কেজি সোনা পাচারে সরকারি কর্মীর যুক্ত থাকার অভিযোগ। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নাম জড়িয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) দপ্তরের। বাধ্য হয়ে নিজের প্রধান সচিবকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। কিন্তু তাতেও থামছে না বিতর্ক। কংগ্রেসের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর আসল দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। ঘটনার সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।

বিতর্কের সুত্রপাত গত ৪ জুলাই। ওইদিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়। রাজ্যের আবগারি দপ্তর ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করে।  অভিযোগ ওঠে, কোনও কূটনৈতিক চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে আমিরশাহী থেকে কোটি কোটি টাকা মুল্যের ওই সোনা কেরলে এনেছে পাচারকারীরা। আর এর সঙ্গে স্বপ্না সুরেশ (Swapna Suresh) নামের এক মহিলা এবং সরিথ কুমার নামের এক ব্যক্তি যুক্ত। এরা দুজনেই আগে কেরলে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটে কাজ করতেন। এদের মধ্যে সরিথ কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ১৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা! করোনা রুখতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা শুরু গুয়াহাটিতে]

যত বিতর্ক অপর অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে নিয়েই। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের প্রধান সচিব এম শিবশংকরের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁর। স্বপ্না একসময় তিরুবনন্তপুরমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কনস্যুলেটের কর্মী ছিলেন। কেরল সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি। এম শিবশংকর আবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব হওয়ার পাশাপাশি কেরল সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরেরও সচিব ছিলেন। সেই সুত্রেই স্বপ্না এবং শিবশংকরের ঘনিষ্ঠতা। স্বপ্নাই নাকি বিমানবন্দরে সোনা ভরতি ব্যাগটিকে নিজের ব্যাগ বলে দাবি করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, স্বপ্নার পাশাপাশি পাচারের ঘটনায় এম শিবশংকরও যুক্ত। আর পুরো ঘটনাটিই ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের অবগতিতে। 

[আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস করেছে সরকার? লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের]

কংগ্রেস নেতা তথা কেরল বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা (Ramesh Chennithala) এই সোনা পাচারের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। মঙ্গলবার এক টুইটে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অফিস ও তাঁর সচিব যে চোরাচালানে যুক্ত, তা পরিষ্কার। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবই পাচারে অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর সম্পর্কে পুলিশ খারাপ রিপোর্ট দিয়েছিল। কিন্তু সরকার তা উপেক্ষা করে তাঁকে নিয়োগ করে। এতেই স্পষ্ট এই পাচারে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের যোগ আছে। রমেশ চেন্নিথালা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠিও লিখেছেন। চাপে পড়ে শিবশংকরকে প্রথমে নিজের প্রধান সচিব পদ থেকে এবং পরে তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যদিও তিনি এই পাচারের ঘটনায় নিজের সচিবের এবং দপ্তরের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement