সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানহানি মামলার জেরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে তলব তিরুবনন্তপুরম আদালতের। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ২ মে এই আদালতের বিচারক রবিশংকরকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুস্করের মৃত্যু নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এই ঘটনার জেরেই প্রথমে কংগ্রেস সাংসদ তাঁকে আইনি নোটিস পাঠান ও শশী থারুরকে ‘খুনি’ বলার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন। শশী থারুর জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৮ ও ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী সুনন্দা পুস্করের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শেষ করে দিল্লি পুলিশ। তারা অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতে একটি চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা করে। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ জানান, এই চূড়ান্ত রিপোর্টে খুনের কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর জানান, ২৮ অক্টোবর রবিশংকর প্রসাদ একটি ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, রবিশংকর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠকে বসে শশী থারুরের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যে, বিদ্বেষপরায়ণ মানহানিকর মন্তব্য করছেন। থারুর জানানস, শুধুমাত্র ভুল তথ্য প্রচার করতে ও অপমান করতে এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। জনসাধারণের সামনে কংগ্রেস সাংসদের মানহানি করতেই এই ধরনের কাজ করেছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর নোটিস দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রবিশংকর প্রসাদকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলেন। পাশাপাশি, এই মিথ্যে তথ্যপূর্ণ ভিডিওটিও তার টুইটার থেকে মুছে ফেলতে বলেন। তবে তার জবাবে অবশ্য নিজের বক্তব্যের সপক্ষেই যুক্তি খাঁড়া করেছেন রবিশংকর প্রসাদ। তিনি জানান, তাঁর বক্তব্য মোটেই মানহানিকর নয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারা অনুযায়ী রবিশংকরের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানান তিরুবনন্তপূরমের কংগ্রেস সাংসদ। এখন দেখার আইনের হাত থেকে বাঁচতে আইনের কোন ফাঁক গেল বের হন আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.