Advertisement
Advertisement

কেরলে ‘বিফ ফেস্ট’ প্রসঙ্গে সেক্যুলাররা চুপ কেন, প্রশ্ন আদিত্যনাথের

কেন্দ্রীয় আইনকে উপেক্ষা করে আয়োজিত 'বিফ ফেস্ট'-কে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর।

Kerala Beef fests: Why are the seculars silent, says Yogi Adityanath
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 29, 2017 3:23 am
  • Updated:May 29, 2017 3:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে অনুষ্ঠিত ‘বিফ ফেস্ট’কে হাতিয়ার করে আরও একবার তথাকথিত সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষদের একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর যুক্তি, অন্যদের ভাবাবেগকে সম্মান করার কোনও চেষ্টাই করেন না সেক্যুলাররা। সম্প্রতি কেরলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় গোমাংস রান্না ও বিতরণ করা হয়। ওই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

[ক্যানসারকে হার মানিয়ে সিবিএসই পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেলেন এই ছাত্র]

যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “দেশের অন্দরে প্রত্যেককে একে অপরের সম্মান করতে জানতে হয়। অনেক সংগঠন ধর্মনিরপেক্ষতার নামে একে অপরকে সম্মান করার কথা বলেন। কিন্তু কেরলের দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁদের মুখ কেন বন্ধ, সেটা আমার জানা নেই। সেক্যুলাররা এই প্রসঙ্গে মৌন কেন?” লখনউতে অনুষ্ঠিত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা ABVP-র ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্যদের সামনে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার থেকে লখনউতে শুরু হচ্ছে ABVP-র তিনদিনের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ বৈঠক।

Advertisement

বেআইনি গোহত্যা পুরোপুরি বন্ধ করতে আরও কড়া আইন আনে কেন্দ্র। গত শুক্রবার সরকার জানিয়ে দেয়, পশুদের হাট বা পশু মেলায় বেআইনিভাবে আর গবাদি পশুর মাংস বিক্রি করার অনুমতি মিলবে না। ধর্মীয় কারণে বলি দেওয়ার জন্য অথবা মাংস খাওয়ার জন্য গরু, মোষ, ষাঁড়, বলদ, বাছুরের মতো পশুগুলি এই বাজারে বিক্রি করা যাবে না। বেআইনিভাবে পশুর বিক্রি-বাটা বন্ধ করতেই কড়া হয় কেন্দ্র। তবে ছাগল ও ভেড়া এই আইনের আওতায় থাকছে না। অর্থাৎ ধর্মীয় কারণে ছাগল বা ভেড়া ব্যবহার করা যেতে পারে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক চাল বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা।

[কাশ্মীরে ‘জঘন্য’ যুদ্ধ লড়তে অভিনব দাওয়াই সেনাপ্রধান রাওয়াতের]

কেন্দ্রের এই ঘোষণার প্রতিবাদে কেরলে বামপন্থীরা প্রবলভাবে সরব হয়ে ওঠেন। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শনিবার কেরলে ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজন করেছে এসএফআই। ওই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে এদিন যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন, দিল্লির জেএনইউ বা হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে এরকম ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনা ঘটলে একমাত্র এবিভিপি সদস্যরাই তার প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রত্যেক ভারতবাসীর হৃদয়ে দেশভক্তি সর্বাগ্রে স্থান পাওয়া উচিত। আগে দেশের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা তারপর অন্য সবকিছু আসা উচিত।  উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে আসার পর থেকে শক্ত হাতে গোহত্যা রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেআইনি কসাইখানাগুলি। নরেন্দ্র মোদির সরকারই একমাত্র দেশভক্তির প্রচার করছে বলেও দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যোগীর রাজ্যেও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান যোগী আদিত্যনাথ।

[কারফিউ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পরীক্ষার্থীদের ঢল শ্রীনগরে]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement