Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণ

একাধিক নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ, ধৃত মাদ্রাসা শিক্ষক

৪০ বছর ধরে একাধিক নাবালিকাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করছে ধৃত ইউসুফ।

63-year-old madrasa teacher arrested for sexually abusing several minors.

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 2, 2019 8:21 pm
  • Updated:June 2, 2019 8:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ৬৩ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোট্টায়াম জেলার থালাইয়লাপারাম্ভু থানার কডুনগালুর এলাকায়। ধৃতের নাম ইউসুফ। স্থানীয় মসজিদের পরিচালন সমিতির তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[আরও পড়ুন- বিজেপি বিধায়কের স্কুলে বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ বজরং দলের, পুলিশের দ্বারস্থ স্থানীয়রা]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ইউসুফের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু, অভিভাবকদের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে, এবার অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১২ জনেরও বেশি নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে অভিযুক্ত। পাশাপাশি জানিয়েছে, ছোটবেলায় তাকে যৌন নির্যাতন করেছিল স্থানীয় এক ব্যক্তি। বড় হয়ে ওই ব্যক্তির মেয়েকে ধর্ষণ করে প্রতিশোধ নেয় সে। তারপর ২৫ বছর বয়স থেকে নাবালিকাদের ধর্ষণ করতে শুরু করে। গত ৪০ বছরে এভাবে বহু নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে ইউসুফ।

Advertisement

[আরও পড়ুন- নেতানেত্রীর গলা নকল করে ট্রেনে ফেরি, হকারকে গ্রেপ্তার করল আরপিএফ]

ধৃতকে জেরা করে আরও জানা গিয়েছে, নিজের কু-কর্মের কথা কখনই প্রকাশ্যে আসবে না বলে মনে করত ইউসুফ। যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ সম্পর্কে নাবালিকাদের স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণেই এই মনোভাব তৈরি হয়েছিল তার। কোনওরকম ঝামেলা ছাড়া একাধিক নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করার পর তা আরও দৃঢ় হয়। তাই সুযোগ পেলেই নিজের বিকৃত যৌন বাসনা মেটাতে মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্রীদের অত্যাচার করত সে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউসুফের কুকীর্তির কথা জানাজানি হওয়ার পরেও নির্যাতিতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হচ্ছিল না। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছিলেন মসজিদ পরিচালন সমিতির সদস্যরাও। যদিও পরে সবাই মিলে একজোট হয়ে স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement