Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kejriwal Navjot Sidhu

আম আদমি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন সিধু? হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী

বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন কেজরিওয়াল।

Kejriwal's statement fuels speculations, Would Navjot Sidhu be AAP's CM face? | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 22, 2021 5:18 pm
  • Updated:June 22, 2021 5:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে এবার আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) দিকে পা বাড়িয়ে নভজ্যোৎ সিং সিধু? পাঞ্জাবের রাজনীতিতে এখন এমনই গুঞ্জন। আগামী বছরের শুরুতেই পাঞ্জাবে ভোট। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের (Captain Amarinder Singh) সঙ্গে সিধুর বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। কংগ্রেস সিধুকে ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আপেই যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। খোদ আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেই জল্পনা উসকে দিয়েছেন।

আসলে সিধুর সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিবাদ পুরনো। বছর চারেক আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেস যোগ দেন সিধু। ২০১৭ নির্বাচনে তাঁকে অমরিন্দরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটপ্রচার করতেও দেখা যায়। আবার ভোটের পর প্রাক্তন ক্রিকেটারকে মন্ত্রীও করেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু সেই সুসম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন বাদেই সিধুকে (Navjot Singh Sidhu) মন্ত্রিসভায় একপ্রকার একঘরে করে দেন ক্যাপ্টেন। সিধুও অপমানিত হয়ে ২০১৯ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। অমরিন্দরের সঙ্গে কাজ করতে না পারায় সিধুকে কেন্দ্রীয় স্তরে দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস। তাঁকে তারকা প্রচারক হিসেবে লোকসভা ভোটে প্রচারও করানো হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে আবার নতুন করে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাইছেন এই প্রভাবশালী নেতা। এবারে তাঁর লক্ষ্য উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলের করের টাকায় করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি রাহুলের]

সিধু এবং অমরিন্দরের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সোনিয়া গান্ধী (Soina Gandhi) পাঞ্জাবের সমস্যা মেটাতে ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছেন। যে কমিটি দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে সিধুকে মন্ত্রিত্ব এবং দলে ভাল পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও, তাতে চিড়ে ভেজেনি। সরকারিভাবে সিধু বলছেন, অকালি দল-বিজেপি সরকারের জমানায় গুরু গ্রন্থ সাহিব অপবিত্র করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় অমরিন্দর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আসলে অমরিন্দর বাদলদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতেই চান না। এটা দুই পরিবারের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সিধুর মন্তব্য, “দুই পরিবার মিলে সরকারি ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে মুনাফা লুটছে। আমি এই ব্যবস্থা বদলাতে চাই। ” এই মন্তব্যের পর সিধুর দলত্যাগ একপ্রকার পাকা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির নামই যথেষ্ট! যোগীর উত্তরপ্রদেশ জিততে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে ভরসা বিজেপির]

এদিকে কেজরিওয়ালও খানিকটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। পাঞ্জাবে গিয়ে তিনি ঘোষণা করে এসেছেন, তাঁর দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন একজন সুপরিচিত শিখ। তাতেই প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, তাহলে কি সিধুর কথাই ইঙ্গিত করছেন কেজরি? যদিও, সরাসরি সিধু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর বক্তব্য, “সিধু কংগ্রেসের বড় নেতা, সম্মানীয় নেতা। তাঁর সম্পর্কে এভাবে হালকা ছলে কথা বলা ঠিক নয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement