সুব্রত বিশ্বাস: শত্রু যখন দোরগোড়ায়, তখন চিন্তা হবেই। একদিকে চিন, অন্য দিকে পাকিস্তান। টার্গেট লে দখল করা। সম্প্রতি গালওয়ান সংঘর্ষে আরও সতর্ক দেশ। চিনকে (China) নজরে রেখে দ্রুত লেহ পৌঁছানোর বিকল্প পথের সন্ধানে রেলপথ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ছে কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে হিমাচল সরকারকে অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি যত শীঘ্র সম্ভব সার্ভে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। দু’দিন আগে হিমাচল সরকারের পরিবহন মন্ত্রী গোবিন্দ সিং ঠাকুর হিমাচল প্রদেশের রেল প্রকল্প রিভিউ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে স্পষ্ট করেছেন, ভানুপল্লী-বিলাসপুর-মানালি হয়ে লেহ পর্যন্ত ৪৭৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন তৈরি হবে তার জমি অধিগ্রহণের কাজ ত্বরান্বিত করা হবে। প্রাকল্পটিকে ‘স্ট্র্যাটেজিক ইম্পর্টেন্টস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই রেলপথটি অত্যন্ত জরুরি। ইতিমধ্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে রেলপথের জন্য বাইশ বার এজেন্সিকে দিয়ে সার্ভে করানো হয়েছে। ৪৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের মধ্যে ৩০টি স্টেশনের প্রস্তাবও রেলকে দিয়েছে হিমাচল সরকার। প্রিলিমিনারি সার্ভের পর এবার ডিটেল সার্ভে হবে। ডিটেল সার্ভের পর স্পষ্ট হবে কতটা জমি কোথায় অধিগ্রহণ করতে হবে। হিমাচল সরকার তড়িঘড়ি এই জমি অধিগ্রহণে সহযোগিতা করবে বলে রেলকে জানিয়ে দিয়েছে। রেল জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তড়িঘড়ি এই রেলপথ তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। লেহ যে চিন ও পাকিস্তানের কাছে কতটা আগ্রহের তা ভারত বুঝে নিয়েছে গালওয়ানে চিনের আগ্রাসন থেকে। আগে কারগিলে পাকিস্তানের ভূমিকা একই রকম ছিল। বর্তমানে লেহ তে পৌঁছনোর একটি মাত্র পথ রয়েছে। যা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভারতীয় সেনা যাতে না পৌঁছতে পারে তার চেষ্টা করে শত্রুরা। ফলে এই অভিসন্ধি ব্যর্থ করতে বিকল্প রেলপথের প্রয়োজন। এজন্য রেল প্রকল্পের সব থেকে জরুরি এই প্রকল্প কার্যকর করতে চায় রেল। এই রেলপথ তৈরি করতে অসংখ্য টানেল ও ব্রিজ তৈরি করতে হবে। প্রাকৃতিক শোভা সমৃদ্ধ এই রেল পথের জন্য পর্যটক যে কম হবে না তা অনুমান করেছে রেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.