সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানার গণ্ডি পেরিয়ে এবার জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর পথে কে চন্দ্রশেখর রাও। নিজের নতুন সর্বভারতীয় দলের নাম ঘোষণা করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS) হয়ে গেল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। কেসিআর (KCR) বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর চেষ্টায় আছেন। সেই লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে নিজের দলের নাম তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি থেকে বদলে ভারত রাষ্ট্র সমিতি করলেন তিনি।
পূর্ব ঘোষণামতোই দশেরার দিন এক বিরাট সভা থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখার কথা ঘোষণা করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। জ্যোতিষীদের পরামর্শমতো এদিন দুপুর ১টা ১৯ মিনিট নাগাদ টিআরএসকে সর্বভারতীয় দল হিসাবে ঘোষণা করেছেন তিনি। কেসিআরের ডাকে এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী (HD Kumarswamy), তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের (MK Stalin) জোটসঙ্গী থল থিরুমাভালান-সহ একাধিক ছোট ছোট দলের দলের শীর্ষ নেতারা।
সরকারিভাবে দশেরার দিন নিজের দলকে সর্বভারতীয় হিসাবে ঘোষণা করলেও জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখার প্রক্রিয়াটি বেশ কিছুদিন আগেই শুরু করেছিলেন কেসিআর। অনেকদিন ধরেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) চ্যালেঞ্জার হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্তরে অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোট গঠনের কাজেও উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই তিনি এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal), ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। আসলে কেসিআরের নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বিজেপি দিন দিন শক্তি বাড়াচ্ছে। কংগ্রেসের বদলে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসার চেষ্টা করছে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিজেপি যে কতটা বিপজ্জনক সেটা তিনি ভালই জানেন। সম্ভবত সেকারণেই বিজেপিকে (BJP) দিল্লি থেকে উৎখাত করতে উদ্যোগী হয়েছেন কেসিআর।
তবে কেসিআর নিজের দলকে সর্বভারতীয় বলে দাবি করলেও সরকারিভাবে সেই স্বীকৃতি এখনও পায়নি ভারত রাষ্ট্র সমিতি। সেটা পেতে হলে অন্তত চার রাজ্যে অন্তত ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে, বা অন্তত ৩টি পৃথক রাজ্য থেকে ২ শতাংশের বেশি লোকসভা আসন জিততে হবে। সেই শর্ত পূরণ করা টিআরএসের পক্ষে বেশ কঠিন। কারণ তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রের কিছু অংশ ছাড়া আর কোথাও সেভাবে অস্তিত্বই নেই কেসিআরের দলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.