সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। একটা সময় ভোট বয়কটের ডাক দিত। ভারত বিরোধী প্রচার চালাত বলেও অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি এবার অংশ নিতে চায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami)। জামাতের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ ‘শুরা’তে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেই তারা জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটে অংশ নেবে। জামাতের শীর্ষ নেতৃত্ব মাস দুই আগেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। এবার সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। তথাকথিত ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ কট্টরপন্থী সংগঠনটির প্রধান ফয়াজ হামিদ এই নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া থেকে শুরু করে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে জামাতের বিরুদ্ধে। ভারত বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারই এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় সংগঠনটিকে ‘দেশবিরোধী’ বলে দেগে দেয় কেন্দ্র। এবার সেই কেন্দ্রের সঙ্গেই আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে জামাত।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ (Ladakh)। ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় গত ২৯ আগস্ট শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, উপত্যকায় গণতন্ত্রের পুনরুত্থান জরুরি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে সেরাজ্যের নির্বাচন করাতে হবে। সেই সময়সীমার মধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শেষ করার চেষ্টা করবে জামাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.