সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের যুবাদের মন থেকে ভয় দূর করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে কাশ্মীরিদের একাত্ম করা যাবে বলেই মনে করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ৩৭০ অবলুপ্তির সুফল, সিয়াচেন হিমবাহের দরজা খুলতে চলছে আমজনতার জন্য]
মঙ্গলবার বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, “জম্মু-কাশ্মীরে বাসিন্দাদের ভরসা দিতে হবে যে, রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা না থাকলেও তাদের চাকরি বা জমির উপর কোনও বিপদ নেই। ৩৭০ ধারা রদের পরে জম্মু-কাশ্মীরের যুবদের মনে চাকরি ও জমি হারানোর যে ভয় রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। কাশ্মীরের মানুষদের মনে এই বিশ্বাস জাগাতে হবে যে ৩৭০ ধারা রদের ফলে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে তারা একাত্ম হতে পারবে।” ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে সওয়াল করে ভাগবত বলেন, এই ধারা আসলে কাশ্মীরিদের দেশের থেকে আলাদা করে রেখেছিল।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছে ভারত। নয়া দিল্লি সাফ জানিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান অযথা এ নিয়ে সবাইকে ভুল বোঝাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মূল সমস্যা পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাস। তারা ইসলামের বদনাম করে ইসলামকে ব্যবহার করেই প্রতিবেশীদের ক্ষতবিক্ষত করছে।
রবীশ কুমার জানান, আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি ও অবস্থানের সঙ্গে সহমত হয়েছেন। কাতারের আমির স্পষ্ট জানিয়েছেন, সে দেশে বসবাসকারী লক্ষাধিক ভারতীয় অভিবাসী যেভাবে দক্ষতা ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাতারের অর্থনীতি ও পরিকাঠামোকে সমৃদ্ধ করছেন তাতে কাতারবাসী ভারতীয়দের কাছে কৃতজ্ঞ।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগের মুখে এই বিষয়ে কেন্দ্রের প্রশংসা শোনা গেলেও উলটো সুর গাইছেন অনেকে। পাকিস্তানের তরফে বিশ্বব্যাপী ভারতের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টাও হয়েছে। এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তারা যে ডসিয়ের দিয়েছে তাতে ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার মন্তব্যকেও হাতিয়ার করা হয়েছে। এরই মাঝে আমেরিকার হিউস্টনে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানে গিয়ে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের জন্য উষ্ণ অভ্যর্থনাও পান প্রবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের থেকে।
[আরও পড়ুন: শিয়রে নির্বাচন, ‘হাউডি মোদি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুম্বই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.