সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পরীক্ষা দিলেন ২৫০০ কাশ্মীরি যুবক। আজ সেনার তরফে সন্ত্রাস ছেড়ে কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে যখন মূল স্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে ঠিক তখনই বারামুল্লা জেলায় ১১১টি পদের জন্য পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিলেন আড়াই হাজার যুবক। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে হওয়া পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনার পর যা অভূতপূর্ব বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে কাশ্মীরের সব যুবকরাই জঙ্গি দলে নাম লেখাতে আগ্রহী নয়। কিছু মানুষ এমনও আছেন যারা দেশের জন্য আত্মবলিদান দিতে চান।
পরীক্ষা দিতে আসা এক কাশ্মীরি যুবক বলেন, ‘কাশ্মীরে কাজের খুব অভাব। তাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আমি যেমন দেশের সেবা করতে চাই তেমনই পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করার পাশাপাশি তাঁদের ভরণপোষণও করতে চাই।’
অন্য আরও এক যুবক বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরের বাইরে যেতে পারি না। তাই এটা আমাদের কাছে খুব বড় একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। আশা করি আমাদের জন্য আরও চাকরির সুযোগ আসবে।’ যদি এই পরিস্থিতিতে সেনায় কাজ করা কাশ্মীরের বাসিন্দাদের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ডিউটি করতে পাঠানো হয়। তাহলে তাঁরা সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা সব থেকে ভাল করবে।
[পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের পরিবাবের পাশে স্টেট ব্যাংক]
এই ঘটনা ঠিক তখনই ঘটল যখন পুলওয়ামার হামলার পর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হেনস্তার ভয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে আসছেন কাশ্মীরিরা। হুমকি পেয়ে রাজ্যে ফিরছেন প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া। যদিও এর মধ্যে সব খবর সত্যি নয় বলে জানানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে।
এপ্রসঙ্গে কাশ্মীরের রাজ্যপালের পরামর্শদাতা খুরশিদ আহমেদ গনাই জানান, তিনি বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। সব রাজ্যের প্রশাসনের পক্ষও থেকে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তারা কাশ্মীর থেকে আসা পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। এরজন্য একটা হেল্পলাইনও চালু করা হয়েছে যেখানে পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা ফোন করে যে কোনও রকম সাহায্য চাইতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.