সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে সেনা সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশ রক্ষা করার গুরুদায়িত্ব পালন করেন, তাঁকেই চরম মারধর করতে দেখা গেল একদল কাশ্মীরি যুবকদের। কাশ্মীর এখনও শান্ত। আগের থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হলেও, এখনও ক্ষোভ মেটেনি। সেরকমই একদল কাশ্মীরি যুবক চড়াও হয় এক জওয়ানের উপর। অবাধে চলে কিল-চড়। এমনকী কেউ কেউ জওয়ানকে লাথিও মারে। কিন্তু হাতে রাইফেল থাকা সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করেননি জওয়ান।
[ হনুমান জয়ন্তী বিতর্কে বিজেপি নেতাকে ‘গালিগালাজ’ ইমাম বরকতির ]
কেন এরকম চুপচাপ ছিলেন জওয়ান? উত্তরটা জানলে নিশ্চয় ভারতীয় সেনার প্রতি গর্ব বেড়ে যাবে দেশবাসীর। ওই জওয়ান ফিরছিলেন একটি ভোটকেন্দ্র থেকে। আচমকাই চড়াও হয় যুবকের দল। তিনি অবশ্য সশস্ত্র ছিলেন। চাইলে এক নিমেষে পরিস্থিতি নিজেদের কবলে আনতে পারতেন। কিন্তু তা না করে অবাধে মারধর সহ্য করে চলে যান তিনি। তাঁর এই সহনশীলতা বিস্মিত করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে এর পিছনে একটি গূঢ় উদ্দেশ্য ছিল জওয়ানের। সেই সময় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। ঝামেলায় যাতে তা হাতছাড়া না হয়, সেটার উপরই জোর দিয়েছিলেন ওই জওয়ান। আর তাই কোনও বিবাদে জড়াননি। মানুষের রায়কে সুরক্ষিত করতে মারধরও সহ্য করেছেন। যে জওয়ান সীমান্ত রক্ষা করেন, তিনিই এভাবে নিরাপদে রাখলেন দেশের গণতন্ত্রকে।
[ এই ব্যাঙ্কে জমা নেওয়া হয় রাম নাম, এমনকী উর্দুতেও ]
সম্প্রতি সে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। যখন ওই জওয়ান মার খাচ্ছিলেন, তখনই কেউ বা কারা সেই ঘটনাকে মোবাইলে ভিডিও করেছিলেন। সে ভিডিও দেশবাসীকে ক্রুদ্ধ করছে। একই সঙ্গে শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তুলেছে ওই জওয়ানের প্রতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.