প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অ-পরিযায়ী’ কাশ্মীরি পণ্ডিতরা (Kashmiri Pandit) হয়রানি ও বিচ্ছিন্নতার শিকার হচ্ছেন। এই অভিযোগে সোমবার আমরণ অনশন শুরু করলেন কাশ্মীরী পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি সঞ্জয় টিকু। তাঁর এই অনশন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠন দপ্তর তথা DMRR&R-এর বিরুদ্ধে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, অ-পরিযায়ী (Non-migrant) কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীর উপত্যকায় থাকা শাস্তিস্বরূপ হয়ে উঠেছে।
এদিন তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় বসবাসকারী অ-পরিযায়ী কাশ্মীরি পণ্ডিত, কাশ্মীরি হিন্দুরা হয়রানি ও বিচ্ছিন্নতাকরণের শিকার হয়েছেন ত্রাণ দপ্তরের হাতে। হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সুপারিশ সত্ত্বেও ত্রাণ দপ্তর কাশ্মীরে বসবাসকারী অ-পরিযায়ী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জীবন নিয়ে খেলেছে।’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘পরিস্থিতি এমনই তৈরি হয় যে, অ-পরিযায়ী পণ্ডিতদের কর্মসংস্থান থেকে পুনর্বাসনের মতো ব্যাপারে চক্রান্ত করা হবে যদি না আমরা ত্রাণ দপ্তরের আধিকারিক কিংবা কর্মীদের সঙ্গে রফায় আসি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘২০২০ সালের জুন মাস থেকে সমস্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ দপ্তরের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছিল মাননীয় হাইকোর্ট ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার জন্য টেবিলের তলায় লেনদেন করতে হবে।’’
একাধিক দাবিতে তাঁর অনশন শুরু করেছেন সঞ্জয় টিকু। তার মধ্যে রয়েছে ত্রাণ দপ্তরের অভিযুক্ত আধিকারিক-কর্মীদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত, হাই কোর্টের নির্দেশে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কর্মসংস্থান, ৮০৮ জন অ-পরিযায়ী কাশ্মীরী পণ্ডিতদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থার মতো একাধিক দাবি।
প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস তুলে তাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.