ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন গুরুতর আহত আরও এক জওয়ান। সব মিলিয়ে এই মারণ হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। পাশাপাশি, মঙ্গলবার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ছায়াসঙ্গী কাশ্মীর টাইগার্স।
গোপন খবরের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ ডোডা টাউন থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে এক জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল সিআরপিএস, সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন পিছু হঠবার জায়গা না পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনাও। দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। উঁচু এলাকা ও ঘন জঙ্গল সত্ত্বেও তাঁদের ধাওয়া করেন জওয়ানরা। এই অবস্থায় ফের জঙ্গলের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন এক সেনা অফিসার-সহ ৫ জওয়ান। সোমবার রাতেই ৫ জনের মধ্যে ৪ জন জওয়ান শহিদ হন। মঙ্গলবার আরও এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে ডোডায় এই মারণ হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদের ছায়াসঙ্গী কাশ্মীর টাইগার্স। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ২০২১ সালে প্রথম শিরোনামে উঠে আসে এই সংগঠন। ওই বছর জুনে দক্ষিণ কাশ্মীরে এক গ্রেনেড হামলা ও ডিসেম্বরে শ্রীনগরে পুলিশ বাসে হামলার দায় স্বীকার করে তারা। পুলিশ বাসে সেই হামলায় ৩ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। এর পর থেকে মাঝে মধ্যেই উপত্যকার নানা জায়গায় হামলার ঘটনায় উঠে এসেছে এই কাশ্মীর টাইগার্সের নাম। জইশের শাখা সংগঠন হওয়ায় এই সংগঠনের পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল। গত সপ্তাহে কাঠুয়াতে সেনা কনভয়ে হামলা ও ৫ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনাতেও এই জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে।
অন্যদিকে সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডোডায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ওই এলাকায় বিশাল সংখ্যায় ওই অঞ্চলে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। হেলিকপ্টারে আকাশ পথে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পাশাপাশি গোটা জঙ্গল জুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.