Advertisement
Advertisement

স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতে সেনায় যোগ দিলেন শহিদ-পত্নি

নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই লেফটেন্যান্ট হয়েছেন তিনি।

Kashmir Martyr Santosh Jaswant Mahadik’s widow becomes Army officer
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 4, 2017 10:06 am
  • Updated:July 4, 2017 10:06 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাল তো ছেড়ে দেওয়াই যায়। দিতে খুব একটা কষ্টও করতে হয় না। কিন্তু জীবন নতুন করে বাঁচার নাম। নতুন করে স্বপ্ন দেখার নাম। স্বপ্নটা অবশ্য স্বাতী দেখেননি, দেখেছিলেন তাঁর স্বামী কর্নেল সন্তোষ যশবন্ত মাহাদিক। চেয়েছিলেন শান্তি ফিরুক কাশ্মীরে। আবার অশান্ত উপত্যকা হয়ে উঠুক ভূস্বর্গ। এই স্বপ্ন চোখে নিয়ে কুপওয়ারা সীমান্তে পাহারা দিচ্ছিলেন ভারতীয় সেনার আধিকারিক। কিন্তু শত্রুর গুলি ঝাঁঝরা করে দেয় তাঁর বুক। অপূর্ণ রয়ে যায় সে স্বপ্ন।

[প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইজরায়েলে পা রাখবেন মোদি]

Advertisement

২০১৫ সালে নভেম্বর মাসে যখন খবরটা স্বাতীর কাছে এসেছিল, এক লহমায় যেন সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুঃখ যত কমেছে, জেদ ততই বেড়েছে। জেদ ছিল স্বামীর অপূর্ণ ইচ্ছে পূরণ করার। দেশকে সন্ত্রাস মুক্ত করার। আর কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনার। সেই আশা নিয়েই গত বছর সশস্ত্র সীমা বলের (SSB) পরীক্ষায় বসেছিলেন স্বাতী মাহাদিক। ভাল নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাশও করেন তিনি। ট্রেনিং নেন চেন্নাইয়ের অফিসারস ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে (OTA)।

[নীতীশের অনুষ্ঠানে মোবাইল গেম খেলে বিপাকে পুলিশকর্মীরা]

ট্রেনিংয়েও সফল হয়েছেন স্বাতী। লেফটেন্যান্ট হিসেবে ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন শহিদ-পত্নি। তাও আবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে। খুব শিগগিরিই পোস্টিং দেওয়া হবে তাঁকে। তবে নিজের পোস্টিং কাশ্মীরেই চান স্বাতী। কারণ সেখানেই দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর স্বামী। যে স্বপ্ন আজ তাঁর চোখে। বিচ্ছিন্নতাবাদের পথ থেকে কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে ফিরিয়ে আনতে চান স্বাতী। তাঁদের বোঝাতে চান, শান্তির মাধ্যমেই জীবনের পথে ফেরা সম্ভব।

[বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সুযোগ মিলবে আবারও?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement