সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর-গুলমার্গ রোডে পাথর ছুঁড়ে চলছিল প্রতিবাদ। তখনই পাথরের আঘাতে মৃত্যু হয় এক পর্যটকের। চেন্নাই থেকে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি লজ্জিত। তাঁর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।
[ কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলার ফয়সালা করবে না সুপ্রিম কোর্ট, নাকচ সিবিআই তদন্তের দাবিও ]
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ওই ব্যক্তির নান থিরুমণি। বয়স ২১ বছর। সকালে তাঁর মাথায় পাথরের আঘাত লাগে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের ডিজি এসপি বেদ লিখেছেন, যেখানে পাথর ছুঁড়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল, সেখানে হঠাৎই দুই থেকে তিনটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। সেখানেই ছিলেন চেন্নাই থেকে আসা ওই পর্যটক। পাথর মাথায় লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে মারা যান। প্রায় ৪০ জন পর্যটকের সঙ্গে কাশ্মীর ঘুরতে এসেছিলেন থিরুমণি। তবে শুধু তিনিই নন, ১৯ বছরের একটি মেয়েও পাথরের আঘাতে জখম হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[ কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলার ফয়সালা করবে না সুপ্রিম কোর্ট, নাকচ সিবিআই তদন্তের দাবিও ]
ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি জানিয়েছেন, “লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা।” থিরুমণির পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেছেন মুফতি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, “এক পর্যটক যখন গাড়ি করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তখন আমরা তাঁকে মেরে ফেললাম।” ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। বলেন, ওই পর্যটক রাজ্যের অতিথি ছিল। ফলে তাঁর মৃত্যু রাজ্যের ক্ষেত্রে লজ্জার কারণ।
গত ৩০ এপ্রিলও পাথর ছোঁড়ার কারণে আহত হন পর্যটকরা। তখন ৭ পর্যটক জখম হয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে। ৪৭ পর্যটক সেই সময় ৪টি ভ্যানে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। ২ মে সোপিয়ানে দ্বিতীয় শ্রেণির একটি ছাত্রও পাথর ছোড়ার ফলে গুরুতর জখম হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.