সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, প্রেমের ফাঁদে পাতা ভুবনে। আর সেই প্রেমের ফাঁদের পা দেওয়াটাই কাল হল জইশ-ই-মহম্মদের সিনিয়র কমান্ডার উমের খালিদের। প্রেমিকার সাহায্যেই এই জঙ্গিকে খতম করল সেনাবাহিনী।
[নাইজেরিয়ার যুবককে পোস্টে বেঁধে বেদম প্রহার, তুঙ্গে বিতর্ক]
সোমবার কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। সকালে সেনার কাছে খবর আসে, উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার রফিয়াবাদের লাডুয়া এলাকায় লুকিয়ে আছে। এরপরই অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। বিপদ বুঝে পালটা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরাও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। জানা গিয়েছে, গুলির লড়াই চলার সময়ে জইশ কমান্ডার উমের খালিদকে প্রথমে চিহ্নিত করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু, আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি উমের খালিদ। উলটে অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে সে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জখম হলেও, একসময় পালিয়ে গিয়েছিল এই জঙ্গি। কিন্তু, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই উমের খালিদকে ঘিরে ফেলে গুলি চালান জওয়ানরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় উমের খালিদ।
[সন্তানদের স্কুলে না পাঠালে মা-বাবাকে থানায় আটকে রাখার নিদান মন্ত্রীর]
তবে সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বারামুলার রফিয়াবাদের লাডুয়া এলাকায় যে জঙ্গিরা জড়ো হয়েছিল, তাদের মধ্যে যে উমের খালিদ আছে, সে খবর সেনাবাহিনীর কাছে ছিল। ওই সেনা আধিকারিকের দাবি, উমের খালিদের এক প্রেমিকাই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সোমবার সকালে তাঁর কাছে আসতে পারে খালিদ। এমনকী, এই জঙ্গিকে রাগত গলায় জাহান্নুম বলে সম্বোধন করেন ওই যুবতী। কিন্তু, উমের খালিদের গতিবিধি কেন পুলিশকে জানিয়ে দিলেন তার প্রেমিকা? ওই সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, কাশ্মীরে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে ১৭ জন প্রেমিকা ছিল উমের খালিদের। তাঁদের কারও কারও সঙ্গে প্রেমে প্রতারণা করেছিল সে। প্রাক্তন প্রেমিকাদের কয়েকজন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উমের খালিদের গতিবিধি সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিতে শুরু করে।
[বৈঠক শেষে মুকুলের বিজেপি যোগ নিয়ে কী মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়র?]
সেনা সূত্রে খবর, উমের খালিদ পাকিস্তানের নাগরিক। গত বছরের অক্টোবরে কাশ্মীরে এই জঙ্গি নেতার উপস্থিতি টের পান সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। দিন কয়েক আগে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বিএসএফের একটি ছাউনিতে জঙ্গি হামলা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদ। সেনা সূত্রে খবর, সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই উমের খালেদ। এক মাস আগে পুলওয়ামার জেলা পুলিশ লাইনে জঙ্গি হামলা পিছনেও এই জঙ্গি নেতার হাত ছিল।
[কেন কার্ডবোর্ডের বাক্সে আনা হল শহিদদের দেহ? প্রবল সমালোচনার মুখে সেনা]
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে কাশ্মীর জঙ্গি বিরোধী অভিযানে লাগাতার সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। সেনার গুলিতে নিকেশ হয়েছে বশির আহমেদ ওয়ানি, আবু দুজানা, আবু ইসমাইল, সাবজার বাটের মতো শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতা।
#FLASH #Baramulla terrorist attack: JeM terrorist Khalid killed by security forces in Ladoora, J&K pic.twitter.com/dILaoeLUdv
— ANI (@ANI) 9 October 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.