সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রার্থনা করতে দিতে হবে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানায় প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গে’র সামনে। আদালতে এমনই আরজি জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মোহন্ত কুলপতি ত্রিপাঠী। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই। সেই সঙ্গে মসজিদের কর্তৃপক্ষের যে দাবি, ‘শিবলিঙ্গ’ নয়, প্রাপ্ত গোলাকার বস্তুটি আসলে ফোয়ারা, তাকেও নস্য়াৎ করে দিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী জানাচ্ছেন তিনি? তাঁর কথায়, ”জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ ছিল। দেওয়ালের উত্তর দিকে ছিল জ্ঞানবাপী কুয়ো। পশ্চিমে ছিল নন্দীমূর্তি। মন্দিরের উত্তর দেওয়ালের কাছে তিনটি দোকান ছিল। একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। চুড়ি বিক্রি করতেন এক মুসলিম মহিলা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পরে। সেই সময়ে মহন্ত পান্না কুয়োয় লাফিয়ে পড়েন শিবলিঙ্গটিকে নিয়ে।”
কুলপতি ত্রিপাঠী চাইছেন ‘শিবলিঙ্গে’র আশপাশের অঞ্চল মুক্ত করে দেওয়া হোক, যাতে সেখানে হিন্দুরা এসে প্রার্থনা করতে পারেন। এরই পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, ওই ‘শিবলিঙ্গ’ ৫১ ফুট দীর্ঘ। মহাদেবের মূর্তির নিচে প্রাচীন গয়নাও মিলবে মাটি খুঁড়লে। এবং সেজন্য উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেওয়াল ভাঙার দাবিও তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। এরপরই সামনে আসে ‘শিবলিঙ্গ’টি। জ্ঞানবাপী মামলাটি নিম্ন আদালতে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত সিল থাকবে মসজিদের ওজুখানা। তবে নমাজপাঠ করতে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই পরিস্থিতিতে এবার অন্য দাবি তুললেন কাশীর মহন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.